প্রকাশিত: জুলাই ১০, ২০২১, ১০:০৪ পিএম
মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বিনা পরিশ্রমে অর্থ
উপার্জন করা হিজড়াদের নতুন
কিছু নয়। রাস্তাঘাট, বাসাবাড়ি,
দোকানপাট যেখানে-সেখানে টাকার জন্য মানুষকে নাজেহাল
করে তারা। কোনো বাড়িতে নবজাতকের
কথা শুনলে ভিড়ও জমায়। পরিবারকে
বাধ্য করা হয় টাকা
দিতে। কখনও কখনও শিশুকে
ভয় দেখালে ঘটে দুর্ঘটনা। অনেক
সময় মারাও যায় শিশু।
এমনই
এক ঘটনা ঘটেছে ভারতের
দক্ষিণ মুম্বাইয়ের অম্বেদকর নগরে। দুই হিজড়ার বিরুদ্ধে
অভিযোগ উঠেছে, বখশিসের টাকা না পেয়ে
এক নবজাতককে অপহরণের পর খুন করার।
পুলিশ
সূত্রের বরাতে আনন্দবাজার জানিয়েছে, অম্বেদকর নগরের বাসিন্দা সচিন চিতোলের বাড়িতে
নবজাতকের খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার
সন্ধ্যায় সেখানে যায় কানাহাইয়া চোঘলে
ওরফে কান্নু। সেখানে সচিনের সন্তানকে আশীর্বাদ করার জন্য ১১০০
টাকা বকশিস দাবি করে সে।
সচিন
তখন কান্নুকে জানান, লকডাউনে তার কাজ চলে
গেছে। তাই হাতে টাকা
নেই। ফলে তার দাবি
মতো টাকা দেয়া সম্ভব
নয়। পরিবর্তে কান্নুকে শাড়ি ও একটা নারকেল
দেয়ার প্রস্তাব দেন সচিন। কিন্তু
কান্নু তা নিতে রাজি
হয়নি। এর পরই সচিনের
সঙ্গে কান্নুর কথা কাটাকাটি হয়।
কান্নুকে বাড়ি থেকে বার করে
দেন সচিন।
এরপর
মাঝরাতে সঙ্গী সোনুকে নিয়ে ফের সচিনের
বাড়িতে যায় হিজড়া কান্নু।
পরে ঘুমন্ত মা-বাবার পাশ
থেকে শিশুটিকে তুলে নিয়ে বাড়ির
পাশের একটি ডোবায় ছুড়ে
ফেলে। সকালে ঘুম থেকে উঠে
সন্তানকে দেখতে না পেয়ে শোরগোল
পড়ে যায়।
সচিন
থানায় গিয়ে কান্নুর বিরুদ্ধে
মামলা করেন। পরে কান্নু এবং
তার সঙ্গী সোনুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে
তারা শিশুটিকে অপহরণ ও হত্যার কথা
স্বীকার করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুম্বাই পুলিশের মুখপাত্র ডিসিপি এস চৈতন্য।
টিআর/এম. জামান