প্রকাশিত: জুলাই ১০, ২০২১, ০৯:০২ পিএম
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রতিনিয়ত মৃত্যুর
মিছিলে যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন প্রাণ।
তার পরও করোনায় যে
সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হচ্ছে তার চেয়ে বেশি
মানুষ মারা যাচ্ছেন খেতে
না পেয়ে। শুক্রবার (৯ জুলাই) এমনই
এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা অক্সফাম। এ ছাড়া বিশ্বব্যাপী
দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতি গত
বছরের তুলনায় ছয়গুণ বেড়েছে বলে ওই প্রতিবেদনে
উল্লেখ করা হয়।
সংস্থাটির
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসে
সারা বিশ্বে প্রতি মিনিটে মারা যাচ্ছেন সাতজন
মানুষ। তবে তার চেয়েও
বেশি মানুষের মৃত্যু হচ্ছে না খেতে পেরে।
বিশ্বে খাদ্যের অভাবে প্রতি মিনিটে মারা যাচ্ছেন ১১
জন মানুষ। এ ছাড়া বিশ্বজুড়ে
দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। ২০১৯ সালে ‘দুর্ভিক্ষের
মতো অবস্থার’ মধ্যে যে পরিমাণ মানুষ
বসবাস করেছেন, ২০২০ সালে সেই
সংখ্যা ছয়গুণ বেড়েছে।
অক্সফামের
মতে, বিশ্বে বর্তমানে ১৫৫ মিলিয়ন মানুষ
খাদ্য সংকটের মধ্য দিয়ে দিন
পার করছেন। তাদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ
দেশের সামরিক সঙ্ঘাতের কারণে অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন। তার
মধ্যে ইয়েমেন, মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্র,
আফগানিস্তান, দক্ষিণ সুদান, ভেনেজুয়েলা ও সিরিয়ায় মহামারির
আগে থেকেই খাদ্য সংকট ছিল। তবে
করোনার কারণে সেখানকার পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।
অক্সফাম
জানিয়েছে, মহামারির কারণে বিশ্বে খাদ্য উৎপাদনও ব্যাহত হয়েছে। ফলে বেড়েছে খাদ্য
সংকট। মহামারির কারণে খাদ্যের দাম ৪০ শতাংশ
বেড়েছে, যা ১০ বছরের
মধ্যে সর্বোচ্চ।
আন্তর্জাতিক
এই দাতব্য সংস্থার দেয়া তথ্য অনুসারে,
বিশ্বজুড়ে পাঁচ লাখের বেশি
মানুষ ‘দুর্ভিক্ষের মতো অবস্থার’ মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
এ ছাড়া চরম ক্ষুধায়
রয়েছে সাড়ে ১৫ কোটি
মানুষ। এই সাড়ে ১৫
কোটি মানুষের মধ্যে প্রতি তিনজনে দুজনের বসবাস সহিংস ও যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে।
এ
দিকে সম্প্রতি জাতিসংঘের একটি অভ্যন্তরীণ নথির
তথ্য বলছে, ইথিওপিয়ার যুদ্ধপ্রবণ টাইগ্রে অঞ্চলের প্রায় সাড়ে তিন লাখ
মানুষ দুর্ভিক্ষের কবলে রয়েছেন।
জাতিসংঘের
মানবিক সহায়তা কার্যক্রম সমন্বয় সংস্থা ইউএনওসিএইচএ-এর প্রধান মার্ক
লোকক বলেন, ‘এ দুর্ভিক্ষ আরও
প্রকট আকার ধারণ করবে।
ছড়িয়ে পড়তে পারে পার্শ্ববর্তী
আমহার ও আফার এলাকায়।’
টিআর/এম. জামান