প্রকাশিত: জুলাই ২৫, ২০২৪, ১১:৫৪ পিএম
আবারও বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশের জনগণও তাদের মৌলিক স্বাধীনতা চর্চায় সক্ষম হবেন, এমনটা দেখতে চায় দেশটি। বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এ তথ্য জানান।
ব্রিফিংয়ে একজন সাংবাদিক জানতে চান, ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশকে ‘লেভেল ৪’ সবচেয়ে বিপজ্জনক অঞ্চল ঘোষণা করেছেন। সেখানে সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়েছে। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করছেন শিক্ষার্থীরা। নিরপরাধ শিক্ষার্থী ও জাতিকে নিষ্ঠুরতা থেকে উদ্ধারে যুক্তরাষ্ট্র কোনো সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে কিনা– এই প্রশ্নের জবাবে ম্যাথু মিলার বলেন, প্রথমত, বাংলাদেশে চলমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের উদ্বেগের বিষয়টি পরিষ্কার করেছি। অন্যদিন ঘোষণা করেছি, ঢাকায় আমাদের কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সব বিকল্প খতিয়ে দেখছি। ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে অত্যাবশ্যকীয় নন এমন কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের স্বেচ্ছায় সেখান থেকে চলে আসার অনুমোদন দিয়েছি। বাংলাদেশে অবস্থান করছেন এমন মার্কিন নাগরিকদের সেবা দিতে দূতাবাস খোলা আছে। মার্কিন যে কোনো নাগরিকের নিরাপত্তা আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার।
ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস পুরোদমে চালু আছে কিনা– এমন এক প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, এটা চালু আছে।
আরেক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, কয়েক দিন ধরে আমরা বলে আসছি, বাংলাদেশে সম্প্রতি যেসব সহিংস কর্মকাণ্ড হয়েছে তার সবটারই নিন্দা জানাই। আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা সমর্থন করি। যারা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার অধিকার চর্চা করছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে সহিংসতার নিন্দা জানাই। আবার কোনো প্রতিবাদী যদি সহিংসতার জন্য তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি ব্যবহার করে থাকে, তাহলে তারও নিন্দা জানাই। যে কোনো রকম সহিংসতার নিন্দা জানাই আমরা।
পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, সারাবিশ্বের জনগণ তাদের মৌলিক স্বাধীনতা যেভাবে চর্চা করেন, চর্চা করতে সক্ষম হন, ঠিক একইভাবে আমরা চাই বাংলাদেশের জনগণও তাদের মৌলিক স্বাধীনতা চর্চায় সক্ষম হবেন। সুতরাং আমরা বিক্ষোভকারী ও সাধারণ নাগরিক এবং সরকার, উভয়পক্ষকে সহিংসতা থেকে বিরত থাকার অব্যাহত আহ্বান জানাই।
৯ জঙ্গির কারাগার থেকে পালানোর বিষয়ে জানতে চাইলে মিলার বলেন, এ বিষয়ে আমার সুনির্দিষ্ট কোনো মন্তব্য নেই।