প্রকাশিত: জুলাই ৯, ২০২৪, ০১:০৬ পিএম
গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনো চুক্তি হলেও অঞ্চলটিতে ইসরাইলি অভিযানের সুযোগ থাকতে হবে। এমনটাই দাবি করেছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ৯ মাসের যুদ্ধ অবসানে মার্কিন-সমর্থিত একটি যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা শুরুর প্রাক্কালে রোববার এমন দাবি করেন তিনি।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত মে মাসে পরিকল্পনাটি উপস্থাপন করেন। যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি কাতার ও মিসর এতে মধ্যস্থতা করছে। এটির লক্ষ্য যুদ্ধের অবসান ঘটানো এবং প্রায় ১২০ জন ইসরাইলি জিম্মির মুক্তি নিশ্চিত করা। পরে সেই প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে সমঝোতার শর্ত হিসেবে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দাবি থেকে সরে আসার ঘোষণা দেয় হামাস।
এর পরিবর্তে হামাস ৬ সপ্তাহজুড়ে আলোচনার মাধ্যমে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি অর্জনের প্রস্তাব দিয়েছে। হামাস জানিয়েছে, তারা এই পরিকল্পনা মেনে নিয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে ইসরাইলের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। এর মধ্যেই গত রোববার নেতানিয়াহু সাফ জানিয়ে দেন, যুদ্ধবিরতির যে কোনো চুক্তিতে ইসরাইলের লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত সামরিক অভিযান পুনরায় শুরু করার সুযোগ থাকতে হবে।
নেতানিয়াহু বলেন, চুক্তিতে ইসরাইলকে যুদ্ধের লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান পুনরায় শুরু করতে কোনো বাধা দেওয়া যাবে না।
তিনি বলেন, ইসরাইল কর্তৃক স্বীকৃত ও প্রেসিডেন্ট বাইডেন কর্তৃক উত্থাপিত পরিকল্পনাটি জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে সহায়ক হবে। তবে যুদ্ধের অন্যান্য লক্ষ্য অর্জনে এটি যেন কোনো প্রতিবন্ধক হয়ে না দাঁড়ায়।
এদিকে, মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আলোচনায় নতুন অনিশ্চয়তা ঢুকিয়ে দিয়েছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে, আলোচনাকারীরা যে সিদ্ধান্ত বা চুক্তিই গ্রহণ করেন না কেন তাতে গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন পুনরায় শুরু করার বিকল্পটি রাখতে হবে।’
অপরদিকে, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর এই শর্তারোপের বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছে, তারা যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির বিষয়ে পরোক্ষ আলোচনার বিষয়ে নমনীয়তা দেখিয়েছে কিন্তু ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই আলোচনায় ‘প্রতিবন্ধকতা’ সৃষ্টি করেছেন।
সোমবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে হামাস বলেছে, ‘আমরা চুক্তিকে সহজতর করার লক্ষ্যে নমনীয়তা ও ইতিবাচকতা দেখিয়েছি কিন্তু নেতানিয়াহু আলোচনার পথে আরও বাঁধা সৃষ্টি করছেন। তিনি আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে তার আগ্রাসন ও অপরাধ বাড়িয়েই যাচ্ছেন এবং তাদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর সমস্ত প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।’