প্রকাশিত: জুন ১৭, ২০২৪, ০৯:৪৮ এএম
বাড়ির বারান্দায় মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল দুই বছরের শিশুকন্যা। কখন যে শিয়াল ঘরে ঢুকে শিশুকে মুখে তুলে নিয়ে পালিয়েছে, তা জানতেই পারেননি মা। ঘুম ভেঙে যখন দেখলেন পাশে মেয়ে নেই, তত ক্ষণে সব শেষ। স্থানীয় লোকজন বহু খোঁজাখুঁজি করে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে থেকে শিশুটির ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করেন। আবার শিয়ালের আক্রমণে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল ভারতের মুর্শিদাবাদে। এ বার সুতি থানার ওমরপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ঘটনা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার রাত ৯টা নাগাদ সুতির ওমরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাহাগলপুর গ্রামের তসবিরা বিবি তার দু’বছরের মেয়ে সুনাফা খাতুনকে নিয়ে বারান্দায় শুয়েছিলেন। দুজনে ঘুমিয়েছিলেন। তখন একটি শিয়াল কোনোভাবে বারান্দায় ঢুকে শিশুকন্যাকে মুখে তুলে নিয়ে চলে যায়। পরে তসবিরা বুঝতে পারেন। তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। একটি জায়গা থেকে লাশ উদ্ধার হয়। জঙ্গিপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার জেরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে পুরো গ্রামে। স্থানীয়দের দাবি, গত দেড় মাসে গ্রামে শিয়ালের উৎপাতে ছয় শিশু-সহ জখম হয়েছেন ১৫ জন। তাদের প্রত্যেককেই হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছে। এমনকি, শিয়ালের আতঙ্কে দিনের বেলাতেও ঘর থেকে বেরোতে ভয় পাচ্ছে শিশুরা। ইতিমধ্যে বিষয়টি বন দপ্তরকে জানানো হয়েছে। মালদহ বন বিভাগের একটি বিশেষ দল শিয়ালদের খোঁজে গ্রামে আসবে বলে জানা গিয়েছে।
সুতি-২ গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ তথা ওই গ্রামের বাসিন্দা আক্তারুল হক বলেন, ‘শেয়ালের অত্যাচারে গ্রামের মানুষ প্রচণ্ড আতঙ্কিত হয়ে রয়েছেন। আহত অনেকেই হয়েছেন। কিন্তু তবে শিশুকে টেনে নিয়ে গিয়ে খাওয়ার ঘটনা এই প্রথম। ইতিমধ্যে বিষয়টি প্রশাসনের শীর্ষকর্তাদের জানানো হয়েছে। বন দপ্ততরের পক্ষ থেকে দ্রুত পদক্ষেপের ব্যাপারে আশ্বস্ত করা হয়েছে।’