প্রকাশিত: জুন ৮, ২০২৪, ১০:০১ পিএম
গাজা উপত্যকায় নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলের ভয়াবহ হামলায় এখন পর্যন্ত ২১০ জন নিরীহ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৪০০ জন।
ফিলিস্তিনের সেশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হাতে বন্দি ইসরাইলি নাগরিকদের উদ্ধারে শনিবার (৮ জুন) গাজা উপত্যকার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে অভিযান চালায় দখলদার ইসরাইলি বাহিনী। কয়েক ঘণ্টাব্যাপী এই অভিযানে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটে।
আল জাজিরার প্রতিবেদন মতে, নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে অভিযান চালিয়ে ৪ জিম্মিকে উদ্ধার করেছে ইসরাইলি বাহিনী। এ সময় ইসরাইলি বাহিনীর একজন কর্মকর্তাও নিহত হন। আহতদের আল আকসা হাসপাতালসহ কয়েকটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গাজার গভর্নমেন্ট মিডিয়া অফিস নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলের এই অভিযানকে ‘ম্যাসাকার’ বলে অভিহিত করেছে। হামাস বলেছে, গাজায় ইসরালের যে কৌশলগত ব্যর্থতা, চার জিম্মির উদ্ধারে তা বদলাবে না।
অভিযানটি চালিয়েছে ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিশের সদস্যরা। মার্কিন প্রশাসনের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে অ্যাক্সিওস জানিয়েছে, ইসরাইলে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা ইউনিট গাজায় চার ইসরাইলি বন্দি উদ্ধারে সহায়তা করেছে।
ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী তথা আইডেএফ জানিয়েছে, জিম্মিদের উদ্ধারের সময় নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে জল, স্থল ও আকাশ তিন দিক থেকেই হামলা চালানো হয়।
চিকিৎসকদের আন্তর্জাতিক সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস-এর পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার চিকিৎসক ডা. তানিয়া হাজ-হাসান বলেছেন, ইসরাইলের অভিযানের পর আল-আকসা হাসপাতাল সম্পূর্ণভাবে রক্তে ভেসে গেছে। এটাকে দেখতে এখন কসাইখানার মতো লাগছে।
এদিকে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড চালানো এই অভিযানকে ‘সফল’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘এই অভিযানের কথা ইতিহাসে লিপিবদ্ধ থাকবে’।