• ঢাকা সোমবার
    ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

বাইডেনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নাকচ নেতানিয়াহুর

প্রকাশিত: জুন ২, ২০২৪, ১১:১৭ এএম

বাইডেনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নাকচ নেতানিয়াহুর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় চলমান যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছেন তা প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, গাজায় যুদ্ধের জন্য ইসরায়েলের নীতি ও শর্তের কোনো পরিবতর্ন হয়নি। হামাসের ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত কোনো স্থায়ী যুদ্ধবিরতি নয়।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে বাইডেন নতুন রোডম্যাপ প্রকাশ করার একদিন পর শনিবার (১ জুন) এসব কথা বলেন নেতানিয়াহু। প্রায় ৮ মাস ধরে চলা গাজা যুদ্ধের অবসানে শুক্রবার (৩১ মে) একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

ওই প্রস্তাবকে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দাবি করে বাইডেন বলেন, গাজায় পূর্ণ যুদ্ধবিরতির ক্ষেত্রে ইসরায়েল একটি নতুন রোডম্যাপ দিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ইসরায়েলের তিন-ধাপের প্রস্তাবটি ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি কার্যকরের মধ্যদিয়ে শুরু হবে। এই সময়ে গাজার সমস্ত জনবহুল এলাকা থেকে ইসরাইলি বাহিনী প্রত্যাহার করা হবে। শতশত ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দেয়া হবে।

বাইডেনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় হামাস বলেছে, তারা এই প্রস্তাবকে ‘ইতিবাচক’ হিসেবে দেখছে।যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও বেলজিয়ামসহ বেশ কয়েকটি দেশ বাইডেনের এই প্রস্তাবে সমর্থন জানিয়েছে। হামাসের হাতে যেসব জিম্মি রয়েছে তাদের পরিবারের সদস্যরাও এই প্রস্তাব কার্যকর করার দাবি জানিয়েছেন।

তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। শনিবার (১ জুন) নেতানিয়াহু এক বিবৃতিতে বলেছেন, হামাসের সামরিক ও প্রশাসনিক কাঠামো নিশ্চিহ্ন না করা পর্যন্ত যুদ্ধ অব্যাহত থাকবে।

তিনি আরও বলেন, ‘যুদ্ধ বন্ধ করার ক্ষেত্রে ইসরায়েলের যে শর্ত রয়েছে তার পরিবর্তন হয়নি। হামাসের সামরিক ও প্রশাসনিক কাঠামো ধ্বংস করা, সব জিম্মিকে মুক্ত করা এবং গাজা আবারও ইসরায়েলের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে না তা নিশ্চিত করা। ইসরায়েল তার শর্তে অটল থাকবে। এসব শর্ত পূরণ হওয়ার আগে ইসরায়েল স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবে এমন ধারণা বাস্তব হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।’

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল ভূখণ্ডে হামাসের হামলায় প্রায় ১২০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং ২৫২ জনকে জিম্মি করা হয়েছে বলে দাবি করে আসছে ইসরায়েল। ওই দিন থেকেই দেশটির সামরিক বাহিনী ফিলিস্তিনি ছিটমহল গাজা সবদিক থেকে অবরুদ্ধ করে ভয়াবহ হামলা শুরু করে।

তারপর থেকে প্রায় আট মাস ধরে চলা ইসরায়েলের স্থল ও আকাশ হামলায় গাজা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে, ব্যাপক অনাহারে ভূখণ্ডটিতে প্রায় দুর্ভিক্ষাবস্থা বিরাজ করছে আর ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৩৬ হাজার ছাড়িয়েছে। নিহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক আর তাদের বড় একটি অংশ নারী ও শিশু। 

আন্তর্জাতিক সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ