• ঢাকা রবিবার
    ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
যুদ্ধাপরাধেও যুক্তরাষ্ট্র নীরব

বাইডেনের ইসরাইল নীতির প্রতিবাদে আরেক মার্কিন কর্মকর্তার পদত্যাগ

প্রকাশিত: মে ৩১, ২০২৪, ০৩:৩৬ পিএম

বাইডেনের ইসরাইল নীতির প্রতিবাদে আরেক মার্কিন কর্মকর্তার পদত্যাগ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরাইলের সংঘাত চলছে আট মাস ধরে। প্রতিদিন মারা যাচ্ছে অসহায় ফিলিস্তিনিরা। চলমান এই সংঘাতে সরাসরি ইসরাইলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে গাজায় ইসরাইলি গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের বিষয়েও যুক্তরাষ্ট্র নীরব।

এই পরিস্থিতিতে পদত্যাগ করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের আরও এক কর্মকর্তা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ইসরাইল নীতির প্রতিবাদে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। খবর রয়টার্সের।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক কর্মকর্তা চলতি সপ্তাহে পদত্যাগ করেছেন। তার নাম স্টেসি গিলবার্ট। বৃহস্পতিবার তিনি বলেছেন, কংগ্রেসে জমা দেওয়া প্রশাসনিক প্রতিবেদন তাতে পদত্যাগ করতে প্ররোচিত করেছে।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইসরাইল গাজায় মানবিক সহায়তা সরবরাহ বাধাগ্রস্ত করছে না এবং এটি পুরোটা মিথ্যা। মূলত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ইসরাইল নীতির প্রতিবাদে তিনি পদত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছেন স্টেসি গিলবার্ট।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, স্টেসি গিলবার্ট মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের ব্যুরো অব পপুলেশন, রিফিউজিস অ্যান্ড মাইগ্রেশনে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেছেন। তিনি কংগ্রেসে জমা দেওয়া বাইডেন প্রশাসনের ওই রিপোর্টে কাজ করা একজন বিশেষজ্ঞ ছিলেন।

পদত্যাগের পর গিলবার্ট একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘কোনটা সঠিক এবং কোনটা ভুল তা স্পষ্টভাবেই বোঝা যায় এবং সেই প্রতিবেদনে যা আছে তা ভুল।’

গত ৭ অক্টোবরের ইসরাইলের হামলার পর থেকে এ পযর্ন্ত ৩৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডজুড়ে মানবিক সংকট গ্রাস করেছে। এই পরিস্থিতিতে মানবাধিকার গোষ্ঠী এবং অন্যান্য সমালোচকরা ইসরাইলকে অস্ত্র সরবরাহ করার জন্য এবং ইসরাইলের বর্বর আগ্রাসনের পক্ষাবলম্বনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অভিযুক্ত করছেন।

আর এর মধ্যেই পদত্যাগ করলেন স্টেসি গিলবার্ট। তিনি গত ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টে কাজ করেছেন। তিনি বলেছেন, স্টেট ডিপার্টমেন্টের বিতর্কিত সেই রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার দিনই তিনি তার অফিসকে অবহিত করেছিলেন যে, তিনি পদত্যাগ করবেন। আর গত মঙ্গলবার ছিল তার শেষ দিন।

মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, তিনি কর্মীদের সমস্যা নিয়ে মন্তব্য করবেন না তবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ভিন্ন মত ও দৃষ্টিভঙ্গিকে স্বাগত জানায়।

তিনি আরও বলেন, প্রশাসন প্রতিবেদনের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং বেসামরিক নাগরিকদের ক্ষতি এড়াতে এবং অবিলম্বে গাজায় মানবিক সহায়তার প্রবেশাধিকার সম্প্রসারণের জন্য ইসরায়েল সরকারের ওপর চাপ অব্যাহত রেখেছে।

ওয়াশিংটনে অবস্থিত ইসরায়েলি দূতাবাস তাৎক্ষণিকভাবে গিলবার্টের অভিযোগের বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে জবাব দেয়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

আর্কাইভ