প্রকাশিত: মে ১৯, ২০২৪, ০৩:২৩ পিএম
ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সামরিক বাহিনী-ইজ্জাদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেড গাজা উপত্যকার সর্বদক্ষিণের শহর রাফায় ১৫ জন ইসরাইলি সেনাকে হত্যার দাবি করেছে। বলা হয়েছে, ট্র্যাপে ফেলে রাফার একটি বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এসব দখলদার সেনাকে হত্যা করা হয়।
হামাসের বরাত দিয়ে আলজাজিরা জানিয়েছে, রাফা শহরের আল-তানুর এলাকার একটি বাড়িতে আগে থেকে বোমা পেতে রেখেছিল আল-কাসসাম ব্রিগেড। ইসরাইলি সেনারা বাড়িটিতে প্রবেশ করার পর সেটির বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
হামাসের সামরিক বাহিনী আরও বলেছে, বিস্ফোরণের পর প্রাণে বেঁচে যাওয়া ইসরাইলি সেনারা বাড়িটি থেকে দ্রুত বের হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদের ওপর গুলিবর্ষণ করেন প্রতিরোধ যোদ্ধারা। তবে রাফার ওই ঘটনার ব্যাপারে ইহুদিবাদী ইসরাইল এখনো কিছু জানায়নি।
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ওপর প্রায় আট মাস ধরে গণহত্যা ও জাতিগত শুদ্ধি অভিযান চালাচ্ছে ইসরাইল। তবে এখন পর্যন্ত নিজের ঘোষিত একটি লক্ষ্যও অর্জন করতে পারেনি তেলআবিব।
গত বছরের অক্টোবর মাসের ৭ তারিখে ইসরাইলে এই দশকের সবচেয়ে বড় হামলা চালায় গাজার হামাস সরকার। এর পরপরই গাজায় বিমান হামলা ও স্থল হামলা শুরু করে ইসরাইল। আট মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা আগ্রাসনে এ পর্যন্ত ৩৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। আহত ৭৯ হাজার ছাড়িয়েছে। এ গণহত্যা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা। জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, গাজার ২২ লাখ অধিবাসী দুর্ভিক্ষের ভয়াবহ ঝুঁকিতে রয়েছে। দ্রুত ত্রাণ পৌঁছাতে না পারলে বিশ্বকে জবাবদিহি করতে হবে।