প্রকাশিত: মে ১৯, ২০২৪, ০১:২৪ পিএম
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার জাবালিয়া ও নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে অন্তত ৪৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। এ ছাড়া ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকা পড়েছেন বহু মানুষ।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা রোববার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। আল জাজিরা জানিয়েছে, নুসেইরাতের একটি বাড়িতে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ১৭ জন নিহত এবং আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন। এ ছাড়া ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে নিখোঁজ রয়েছেন আরও অনেকে।
সাংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, উত্তর গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ২৮ ফিলিস্তিনি নিহত এবং কয়েক ডজন মানুষ আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে অনেক নারী ও শিশু রয়েছে।
এর আগে শনিবার গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৬৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আল জাজিরা বলছে, ইসরায়েলি বাহিনী গাজা উপত্যকা জুড়ে আক্রমণ আরও জোরদার করেছে এবং শনিবার কমপক্ষে ৬৪ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে তাদের সংবাদদাতারা জানিয়েছেন।
গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজার দক্ষিণাঞ্চল থেকে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় হামাস। ইসরায়েলের দাবি, এ হামলায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া হামাসের যোদ্ধারা ২৫৩ জন ইসরায়েলিকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায়।
এ ঘটনার পর থেকেই গাজায় পাল্টা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। শুরুতে গাজার উত্তরাঞ্চলে হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। পরবর্তীতে গাজার দক্ষিণাঞ্চলেও তাদের আগ্রাসন ছড়ায়।
ইসরায়েলি এই আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, যার বেশিরভাগ নারী ও শিশু। এ ছাড়া হামলায় আহত হয়েছেন ৭৯ হাজার ২০০ জনের বেশি।
গাজায় ৭ মাসের বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলের যুদ্ধে উপত্যকাটির বড় অংশ বিধ্বস্ত হয়েছে। খাবার, পানি, জ্বালানি ও ওষুধের প্রচণ্ড ঘাটতিতে ভুগছে লাখ লাখ মানুষ।