প্রকাশিত: মে ১৮, ২০২৪, ০১:১৯ পিএম
হামাস জানিয়েছে, গাজা উপকূলের অস্থায়ী জেটি এই উপত্যকার জনগণের খাদ্যের চাহিদা পূরণ করবে না। আমরা অবিলম্বে স্থল ক্রসিংগুলো খুলে দিয়ে সেই পথে ত্রাণ ও পণ্য আসতে দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় কথিত ত্রাণ প্রবাহ বাড়ানোর উদ্দেশ্যে আমেরিকা সেখানে অস্থায়ী জেটি নির্মাণ শেষ করার যে ঘোষণা দিয়েছে তাকে ‘নিজের কুৎসিত চেহারা ঢেকে রাখার ব্যর্থ প্রচেষ্টা’ বলে উল্লেখ করেছে হামাস।
মেহের নিউজ জানিয়েছে, হামাসের মিডিয়া অফিস শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেএ তথ্য জানিয়েছে।
গাজার স্থল ক্রসিংগুলো খুলে দিতে ইসরাইলকে বাধ্য করার পরিবর্তে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত মার্চ মাসে ওই উপত্যকার উপকূলে একটি ভাসমান জেটি নির্মাণ করার নির্দেশ দেন। এর কয়েকদিনের মধ্যে সেই জেটি নির্মাণের উদ্দেশ্যে গাজা উপকূলে মার্কিন নৌসেনা মোতায়েন করা হয়। ওই জেটির মাধ্যমে সাইপ্রাস থেকে জাহাজে করে গাজাবাসীর জন্য খাদ্য ও ত্রাণসামগ্রী আনার ঘোষণা দেয় ওয়াশিংটন। মার্কিন সেনাবাহিনী গতকাল শুক্রবার বলেছে, তাদের জেটি নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে এবং আগামী কয়েক দিনের মধ্যে এটির মাধ্যমে ট্রাকভর্তি ত্রাণ গাজায় প্রবেশ করবে।
এ সম্পর্কে হামাসের মিডিয়া অফিস আরও বলেছে, ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইল গাজাবাসীর ওপর যে ভয়াবহ গণহত্যা ও নিধনযজ্ঞ চালাচ্ছে তার প্রতি আমেরিকার পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। মার্কিন অস্ত্র দিয়েই গাজাবাসীকে হত্যা করা হচ্ছে। এ অবস্থায় আমেরিকা বিশ্ববাসীর সামনে নিজের কদর্য চেহারাকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করার লক্ষ্যে ভাসমান জেটির মাধ্যমে ত্রাণ আনার পদক্ষেপ নিয়েছে।
হামাসের বিবৃতিত আরও বলা হয়েছে, চলমান গণহত্যামূলক যুদ্ধে আমেরিকা এ পর্যন্ত ইসরাইলকে দুই লাখ রকেট ও বোমা সরবরাহ করেছে যা দিয়ে তেল আবিব গোটা উপত্যকাকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে।
এতে আরও বলা হয়, গাজাবাসীকে হত্যা করার কাজে সব ধরনের ইন্ধন ও মদদ দেওয়ার পর সেই গাজাবাসীর জন্য ত্রাণ তৎপরতা চালানোর মার্কিন উদ্দেশ্য সম্পর্কে সন্দেহ করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।