• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
পাকিস্তানের ইসলামী নেতা

ভারত পরাশক্তি হচ্ছে, আর আমরা ভিক্ষা করছি

প্রকাশিত: এপ্রিল ৩০, ২০২৪, ০৯:০৬ পিএম

ভারত পরাশক্তি হচ্ছে, আর আমরা ভিক্ষা করছি

পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় ডানপন্থী ইসলামী নেতা মাওলানা ফজলুর রেহমান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ভারতের সঙ্গে নিজেদের তুলনা করে পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় ডানপন্থী ইসলামী নেতা মাওলানা ফজলুর রেহমান  বলেছেন, আমরা দুই দেশ একই দিনে স্বাধীন হয়েছি; কিন্তু ভারত পরাশক্তি হচ্ছে আর আমরা ভিক্ষা করছি।

মাওলানা ফজলুর রেহমান, শুধু ভারত ও নিজেদের তুলনা করুন। আমরা উভয় দেশ একই দিনে স্বাধীনতা পেয়েছিলাম। কিন্তু আজ তারা (ভারত) পরাশক্তি হওয়ার স্বপ্ন দেখছে এবং আমরা দেউলিয়া হওয়া এড়াতে ভিক্ষা করছি।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) জাতীয় পরিষদে বক্তৃতা দেয়ার সময় এ কথা বলেন রেহমান। এ সময় তিনি দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বি ইমরান খানের পিটিআইকে সমর্থন করে বলেন, তাদের সমাবেশ করার অধিকার আছে।

সংসদে রেহমান পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের সমর্থনে বলেন, বিরোধী দলের সমাবেশ করার এবং এমনকি সরকার গঠন করার অধিকার রয়েছে।

জামায়াতে উলেমা-ই-ইসলাম ফজল (জেইউআই-এফ) এর উপদলের প্রধান রেহমান, জাতীয় পরিষদে তার জ্বালাময়ী ভাষণে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে সরকারের সমালোচনা করে বলেন, সমাবেশ করা পিটিআই’র অধিকার। আমরা ২০১৮ সালের নির্বাচনে কারচুপির জন্য আপত্তি জানিয়েছিলাম এবং আমরা ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন নিয়েও আপত্তি জানাচ্ছি।

রেহমান বলেন, ‘পিটিআই নেতা আসাদ কায়সার দলের সমাবেশ করার অধিকার দাবি করেছিলেন। আসাদ কায়সারের দাবি সঠিক এবং সমাবেশ করা পিটিআই’র অধিকার।

রেহমান পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ) এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টির ক্ষমতাসীন জোটকে আহ্বান জানান পিটিআইকে সরকার গঠনের অনুমতি দেয়ার জন্য। 

তিনি বলেন, আপনারা ক্ষমতা ছেড়ে দিন। এখানে এসে (বিরোধীদের বেঞ্চে) বসুন, এবং পিটিআই যদি চায় তাহলে তাদের সরকার গঠন করতে দিন।  

এ সময়  নির্বাচন ও দেশ পরিচালনায় আমলাতন্ত্রের ভূমিকা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন রেহমান। তিনি বলেন, দেশ অর্জনে প্রতিষ্ঠান ও আমলাতন্ত্রের কোনো ভূমিকা ছিল না। এছাড়া ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তিনি বলেন, সিদ্ধান্ত অন্য কেউ নেয় কিন্তু সমস্যার জন্য রাজনীতিবিদদের দায়ী করা হয়।

রেহমান ইসলামিক নীতিমালা সমুন্নত রাখার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে ইসলামিক আইডিওলজি কাউন্সিলের (সিআইআই) সুপারিশ বাস্তবায়নে ব্যর্থতার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। বলেন, ‘আমরা ইসলামের নামে দেশ পেয়েছি, কিন্তু আজ আমরা ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছি। ১৯৭৩ সাল থেকে, সিআইআই’র একটি সুপারিশও বাস্তবায়িত হয়নি। আমরা কিভাবে ইসলামিক দেশ হতে পারি?’

সংসদে তিনি আরও বলেন, দেউলিয়া হওয়া এড়াতে পাকিস্তান আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছে ভিক্ষা করছে।

আর্কাইভ