প্রকাশিত: এপ্রিল ২৫, ২০২৪, ১০:৩৫ এএম
বিশালাকৃতির একটি কুমির আটকে দিল মার্কিন বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান। গল্পের মতো শোনালেও গত সোমবার বাস্তবে ঘটনাটি ঘটেছে ফ্লোরিডার বিমানঘাঁটিতে।
মার্কিন বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে, সোমবার এক নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী হয় ফ্লোরিডার ম্যাকডিল বিমানবাহিনীর ঘাঁটি। জ্বালানি নেওয়ার জন্য অবস্থান করা একটি KC-135 বিমানের সামনে সটান হাজির হয় একটি দানবাকৃতি কুমির। রানওয়েতে দিব্যি বিমানের চাকাকে আরামকেদারা বানিয়ে ফেলে সরীসৃপটি। ফলে যাত্রা আটকে যায় জ্বালানিবাহী বিমানটির।
এর পর কুমিরটিকে সেখান থেকে সরানোর জন্য খবর দেওয়া হয় ফ্লোরিডা ফিশ অ্যান্ড ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন কমিশনকে। কিন্তু কুমিরটিকে চাকার নিচ থেকে বের করতে কালোঘাম ছুটে যায় কর্মকর্তাদের। দড়ি বেঁধে কোনোমতে বিমানটির চাকার নিচ থেকে বের করে আনা হয় সরীসৃপটিকে। বেশ কিছুক্ষণ ‘যুদ্ধ’ করার পর বাগে আসে কুমিরটি। ম্যাকডিল বিমানঘাঁটি থেকে উদ্ধারের পর সেটিকে নিরাপদে পাশের হিলসবরো নদীতে ছেড়ে দেওয়া হয়। মাঝখানে বিরল এই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করেন এয়ার বেজের দুজন অফিসার। সামাজিকমাধ্যমে ভাইরালও হয় ‘যুদ্ধবিরোধী’ কুমিরের কীর্তি।
গোটা ঘটনা এক্স হ্যান্ডেলে তুলে ধরে ম্যাকডিল এয়ার ফোর্সের তরফে জানানো হয়, ‘আমাদের নতুন করালদন্ত এয়ারম্যানকে নিরাপদ স্থানে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ফ্লোরিডা ফিশ অ্যান্ড ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন কমিশনকে অসংখ্য ধন্যবাদ।’
ফ্লোরিডার পথেঘাটে কুমিরের দেখা পাওয়া নতুন কোনো ব্যাপার নয়। সেখানকার বিভিন্ন জলাভূমি, হ্রদে প্রায় ১৩ লাখ কুমিরের বাস। মাঝেমধ্যে তারা হানা দেয় শহরের বিভিন্ন অলিগলিতে। ঢুকে পড়ে বাড়ির বাগানেও। কিন্তু বিমানসেনার ঘাঁটিতে এত বড় কুমিরের দেখা পাওয়া খুবই বিরল। তাই ভাইরাল হওয়া ভিডিও দেখে নেটিজেনদের একাংশ কুমিরটিকে ‘যুদ্ধবিরোধী’র তকমা দিয়েছেন। তাদের মত, কুমিরটিকে দেখে মনে হচ্ছে, বিমানটির পথ আটকে সেও শান্তির বার্তা দিচ্ছে।