প্রকাশিত: এপ্রিল ২৩, ২০২৪, ০৮:৫৪ পিএম
ইরান-পাকিস্তান চুক্তির ফলে নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরান ও পাকিস্তানের মধ্যে ব্যবসায়িক চুক্তি হওয়ায় এই বড় ধরনের নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে পাকিস্তানে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির তিন দিনের সফরকে কেন্দ্র করে এ ধরণের সতর্কবার্তা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট।
জিও নিউজ জানায়, পাকিস্তান-ইরান ব্যবসায়িক চুক্তির ফলে দেশ দুটি নিষেধাজ্ঞায় পড়ার ঝুঁকিতে আছে বলে হুমকি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
বিবৃতিতে পাকিস্তানের নাম উল্লেখ না করে, স্টেট ডিপার্টমেন্টের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা সবাইকে পরামর্শ দিচ্ছি, ইরানের সঙ্গে যদি কোন দেশ ব্যবসায়িক চুক্তি করে তাহলে তাদের ওপর ওয়াশিংটনের বড় ধরণের নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকি আছে।’
ওয়াশিংটনের সঙ্গে ইসলামাবাদের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের বিষয়ে মন্তব্য করার সময় ওই মুখপাত্র বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের বৃহত্তম রফতানি বাজার এবং বৃহত্তম বিনিয়োগকারী দেশের মধ্যে একটি।
মুখপাত্র আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র গত ২০ বছর ধরে পাকিস্তানে নেতৃস্থানীয় বিনিয়োগকারী দেশ। আমরা সবসময় চাই, পাকিস্তান অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জন করুক এবং আমরা আমাদের ব্যবসায়িক অংশীদারিত্ব এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পক্ষে।
প্রেসিডেন্টইসলামাবাদকে নিষেধাজ্ঞার হুমকি যুক্তরাষ্ট্রের রাইসির তিন দিনের সফরের মধ্যে তেহরানের সঙ্গে ইসলামাবাদের ঘনিষ্ঠতা এবং দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত দ্বিপক্ষীয় চুক্তির কথা বিবেচনা করে এমন নিষেধাজ্ঞার ইঙ্গিত দেন মুখপাত্র।
পাকিস্তানের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়ে এমন বিবৃতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যখন ইসলামাবাদে ইরানের প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানানোর মাধ্যমে দুদেশের ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে দুই দেশ।
গত জানুয়ারিতে সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দেশ দুটি। জঙ্গিদের আশ্রয় দেয়া নিয়ে দুদেশই উভয় ভূখন্ডে পাল্টাপাল্টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।
এর আগে দামেস্কে ইরানি দূতাবাসে হামলার পর ইসরাইলের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘর্ষের কারণে তেহরানের ভাবমূর্তির কথাও উঠে এসেছে বিবৃতিতে।
এরইমধ্যে তেহরান ও ইসলামাবাদ দুদেশের সম্পর্ক শক্তিশালী করতে বাণিজ্য, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, কৃষি, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি ও বিচারিক বিষয়সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মোট আটটি চুক্তি করেছে। চুক্তিগুলোতে স্বাক্ষর করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ এবং ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি।