প্রকাশিত: এপ্রিল ২০, ২০২৪, ০১:০৬ পিএম
চরম উত্তেজনার মাঝেই ওয়াশিংটন তেল আবিবকে শত কোটির বেশি ডলারের অস্ত্র দিচ্ছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে শুক্রবার এমন তথ্য প্রকাশ করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।
এতে বলা হয়েছে, গাজায় তেল আবিবের যুদ্ধাপরাধ এবং ইরানের সঙ্গে চলমান উত্তেজনা নিয়ে যখন বিশ্বব্যাপী ক্ষোভ বিরাজ করছে; তার মধ্যেই ওয়াশিংটন ইসরাইলের জন্য ১ বিলিয়ন ডলারের নতুন অস্ত্রের চুক্তি করার পরিকল্পনা করছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাইডেন প্রশাসনের প্রস্তাবিত চুক্তিতে ৭০ কোটি ডলারের ১২০ মিমি ট্যাঙ্ক অ্যামুনিশন, ৫০ কোটি ডলারের কৌশলগত যান এবং ১০ কোটি ডলারের ১২০ মিমি মর্টার রাউন্ডস অন্তর্ভুক্ত।
ডেইলি সাবাহ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর এটিই ইসরাইলের জন্য সবচেয়ে বড় অস্ত্রের প্যাকেজ। বর্তমানে কংগ্রেসের সামনে একটি সামরিক সহায়তা চুক্তির অতিরিক্ত হবে এই প্যাকেজ।
তুরস্কের সরকারি বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, এ বিষয়ে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের কাছে মন্তব্য জানতে চাওয়া হলেও কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
খবরে বলা হয়েছে, গাজায় তেল আবিব বেসামরিক লোকদের লক্ষ্যবস্তু করেছে- এক্ষেত্রে মার্কিন সামরিক সহায়তার কারণে সমালোচনার সম্মুখীন যুক্তরাষ্ট্র। ইতোমধ্যে ইসরাইলি হামলায় ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন; যার মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া ইসরাইলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন এবং আমেরিকান সহায়তা ঠেকিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে মার্কিন আইন লঙ্ঘনের বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ রয়েছে।
অপরদিকে গত ১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেটে হামলার প্রতিক্রিয়ায় তেহরান ইসরাইলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পর ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে তুমুল উত্তেজনা চলছে। তার মধ্যেই এমন প্রতিবেদন সামনে আসল। কনস্যুলেটে ইসরাইলের হামলায় দুই শীর্ষস্থানীয় কমান্ডারসহ সাতজন ইরানি সামরিক কর্মকর্তা নিহত হয়।
গত মাসে দেড় ডজন ডেমোক্র্যাটিক সিনেটর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন- যাতে তারা ইসরাইলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের ১৯৬১ সালের আইন অনুযায়ী, যেসব দেশ আমেরিকান ত্রাণ সহায়তা বিতরণে বাধা দেয়; সেসব দেশের কাছে অস্ত্র বিক্রি নিষিদ্ধ।