প্রকাশিত: এপ্রিল ১৯, ২০২৪, ০৭:৪৬ পিএম
বিবিসিকে একজন পারমাণবিক ও রাসায়নিক বিশেষজ্ঞ বলেছেন, সম্ভাব্য লক্ষ্য হিসেবে ইরানের দ্বিতীয় শহর, ইস্ফাহানকে বেছে নেয়া "অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ"।
যুক্তরাজ্য এবং নেটোর পারমাণবিক বাহিনীর সাবেক কমান্ডার হামিশ ডি ব্রেটন গর্ডন উল্লেখ করেছেন, শহরটির আশেপাশে অনেকগুলো সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। সেগুলোরই একটি ছিল লক্ষ্যবস্তু।
"
যথেষ্ট নিকটে ছিল, যেখানে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে, বলে আমরা ধারণা করি সেই স্থানটির। সুতরাং এটা তাদের জন্য একটা ঝাঁকুনি," বিবিসিকে বলেন তিনি।ডি ব্রেটন হামলার উদ্দেশ্য সম্পর্কে ধারণা দিতে গিয়ে বলেন, "মূলত সামর্থ্যের এবং সেইসাথে সম্ভবত লক্ষ্য সম্পর্কেও জানান দেয়ার চেষ্টা।"।
"ইরান ইসরায়েলের দিকে তিনশোর বেশি মিসাইল ছুঁড়েছে, প্রায় সবগুলোকেই ভূপাতিত করা হয়। ইসরায়েল ইরানের লক্ষ্যবস্তুতে ছুঁড়েছে মাত্র একটি বা দু`টি - যা প্রতিরক্ষা ভেদ করে আঘাত হেনেছে এবং ক্ষয়ক্ষতি ঘটিয়েছে।"
তিনি আরো দাবি করেন, প্রথাগত সামরিক সক্ষমতার বিচারে ইসরায়েল ইরানের চেয়ে এগিয়ে আছে। সেই জন্যই তেহরান প্রক্সি ওয়্যারে (ছায়াযুদ্ধ) বেশি আগ্রহী এবং "ইসরায়েলের সাথে সরাসরি যুদ্ধ এড়িয়ে চলে। কারণ, তারা জানে নিদারুণ পরাজয় হবে তাদের"।
ইরানিদের তরফে হামলার গুরুত্বকে খাটো করে দেখা প্রসঙ্গে ডি ব্রেটন গর্ডন বলেন, তারা স্বীকার করতে চাইবে না যে কোনো ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র তাদের "পুরনো" আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করেছে এবং লক্ষ্যে আঘাত হেনেছে।"