প্রকাশিত: এপ্রিল ১৭, ২০২৪, ০৯:২৩ পিএম
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে জানা গেছে, গাজায় ইসরাইলি হামলায় একটি ফার্টিলিটি ক্লিনিকে গোলার আঘাতে প্রায় ৪ হাজার ভ্রূণ, ১ হাজার শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর নমুনা ধ্বংস হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, গত বছরের ডিসেম্বরে ইসরাইলি হামলায় গাজার সবচেয়ে বড় ইনভিট্রো ফার্টিলাইজেশন বা আইভিএফ সেন্টার আল-বাসমায় আঘাত হানে ইসরাইলি বাহিনীর একটি গোলা। সেই হামলায় ক্লিনিকটিতে থাকা ভ্রূণ ও শুক্রাণু সংরক্ষণকারী পাঁচটি নাইট্রোজেন ট্যাংকের ঢাকনা ভেঙে যায়।
ইসরাইলি হামলার নাইট্রোজেন ট্যাংকের ঢাকনা ভেঙে গেলে ভেতরের তাপমাত্রা আর নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি। ফলে ৪ হাজারের বেশি ভ্রূণ এবং ১ হাজারের বেশি শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর নমুনা ধ্বংস হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরাইলি হামলার নাইট্রোজেন ট্যাংকের ঢাকনা ভেঙে যাওয়ার কারণে এর ভেতরের তাপমাত্রা আর নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি। ফলে এর ভেতরের তাপমাত্রা বেড়ে গিয়ে ৪ হাজারের বেশি ভ্রূণ এবং ১ হাজারের বেশি শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর নমুনা ধ্বংস হয়।
রয়টার্স জানায়, ইসরাইলি ওই হামলার ফলাফল সুদূরপ্রসারি। ওই হামলা মূলত নিহত ফিলিস্তিনিদের অদৃশ্য সংখ্যা, যারা জীবন পাওয়ার আগেই ঝরে গেছে। একই সঙ্গে এই ৫ হাজার সম্ভাব্য ফিলিস্তিনি অঞ্চলটির হাজারও বন্ধ্যা দম্পতির আশার আলো নিভে গেল।
আল-বাসমা আইভিএফ সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা ও কেমব্রিজ থেকে নারী ও প্রসূতি বিদ্যার ওপর বিশেষ প্রশিক্ষণ নেওয়া বাহায়েলদি ঘালায়িনি বলেন, আমরা জানি যে, এই ৫০০০ হাজার জীবন, সম্ভাব্য জীবন (বন্ধ্যা দম্পতি) পিতামাতার অতীত ও ভবিষ্যতের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
বাহায়েলদি ঘালায়িনি ১৯৯৭ সালে এই ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করেন গাজায়। ঘালায়িনি বলেন, ফিলিস্তিনি বন্ধ্যা-যাদের শুক্রাণু বা ডিম্বাণু সৃষ্টির সক্ষমতা নেই, সেসব দম্পতির অর্ধেকই জীবনে আর কোনো দিন সন্তান জন্মদানের জন্য গর্ভধারণ করতে পারবেন না। আমার হৃদয় ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গেছে