প্রকাশিত: এপ্রিল ১৫, ২০২৪, ০১:০২ পিএম
ইসরাইলে হামলা চালানোর ৭২ ঘণ্টা আগেই যুক্তরাষ্ট্র ও প্রতিবেশী দেশগুলোকে সতর্ক করেছিল ইরান। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাব্দুল্লাহিয়ান এ দাবি করেছেন।
তবে ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ দাবি অস্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, এ ব্যাপারে ওয়াশিংটনকে সতর্ক করেনি তেহরান।
শনিবার স্থানীয় সময় রাতে ইসরাইলে আঘাত হানে ইরানের শত শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র। সিরিয়ায় থাকা নিজেদের কনস্যুলেটে হামলার প্রতিশোধ নিতে এ হামলা চালায় দেশটি। এ ইস্যুতে বেশ উত্তপ্ত বিশ্ব রাজনীতির অঙ্গন।
এ হামলায় তেহরান ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির দাবি করলেও ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলের একটি বিমান ঘাঁটি সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত এবং এক শিশু গুরুতর আহত হওয়ার কথা জানিয়েছে তেল আবিব।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমিরাব্দুল্লাহিয়ান বলেছেন, আমাদের অভিযানের ৭২ ঘণ্টা আগে আমাদের বন্ধু এবং প্রতিবেশী দেশগুলোকে জানিয়েছি যে, ইসরেইলকে অবশ্যই জবাব দেবে ইরান, যা বৈধ এবং এড়ানোর উপায় নেই।
বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে একটি বৈঠকে তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রকেও জানানো হয়েছে যে, ইসরাইলে ইরানের হামলা হবে সীমিত এবং আত্মরক্ষামূলক।
ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ দাবির বিষয়ে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, হামলার আগে তারা ওয়াশিংটন ও তেহরান উভয়ের সঙ্গে কথা বলেছিল।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়ে, তুরস্ক, জর্ডান এবং ইরাকের কর্মকর্তারা রোববার বলেছেন, ইসরাইলে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কয়েক দিন আগে তাদেরকে বিস্তৃত নোটিশ দিয়েছিল ইরান।
কিন্তু ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি অস্বীকার করে এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, এটি একেবারেই সত্য নয়। হামলার বিষয়ে ইরান কোনো ধারণা দেয়নি, কোনো নোটিশ দেয়নি। তারা এমন কোনো ধারণা দেয়নি যে, ‘এরা লক্ষ্যবস্তু হবে, তাদের সরিয়ে দিন’।
হামলা শুরু হওয়ার পরেই তেহরান যুক্তরাষ্ট্রকে একটি বার্তা পাঠিয়েছিল বলে দাবি করেন এই কর্মকর্তা।
কী ছিল সেই বার্তায় সে বিষয়ে এই মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, সুইসদের মাধ্যমে ওই বার্তা পাঠায় তেহরান। সেই বার্তায় হামলা সম্পন্ন হয়েছে বলে মূলত ইঙ্গিত দেয়া হয়েছিল, তবে হামলা তখনও চলমান ছিল। সেসময় আমাদের কাছে এটিই ছিল বার্তা।