প্রকাশিত: এপ্রিল ১৫, ২০২৪, ১২:০০ পিএম
বিশ্ব সংস্থায় রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া বলেছেন, দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে অবৈধভাবে হামলার ঘটনায় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হওয়ার কারণেই শনিবার (১৩ এপ্রিল) তেহরান হামলা চালিয়েছে।
রোববার (১৪ এপ্রিল) নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে এ মন্তব্য করেন তিনি।
রাশিয়ার দূত বলেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ওই অঞ্চলে সর্বশেষ সহিংসতাকে উসকে দিয়েছে। দামেস্কে তেহরানের দূতাবাসে হামলার ঘটনায় পদক্ষেপ না নেয়ার কারণে নতুন করে ইরানি হামলার জন্ম দিতে সহায়তা করেছে।
রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের বলেন, ১৪ এপ্রিল যা ঘটেছে তা এমনি এমনি হয়নি। ইরানের হামলা এই কাউন্সিলের লজ্জাজনক নিষ্ক্রিয়তার প্রতিক্রিয়া হয়ে উঠেছে।
গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেটে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরাইল। এতে বিপ্লবী গার্ডের দুই কমান্ডারসহ ৭ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নিহত হন।
রাশিয়ান দূত বলেন, ইরানের কনস্যুলেটে হামলা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হলেও নিরাপত্তা পরিষদের পশ্চিমা সদস্যরা ইসরাইলকে ‘ভয়াবহ আক্রমণ’ নিয়ে তিরস্কার করার বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে
নেবেনজিয়া উল্লেখ করেছেন, আমরা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সহকর্মীদের এই ধরনের বেপরোয়া পদক্ষেপের নিন্দা জানানোর জন্য স্পষ্টভাবে এবং দ্ব্যর্থহীনভাবে বলেছি, যাতে এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়।তিনি বলেন, আমরা সতর্ক করে দিয়েছি যে অন্যথায়, এই ধরনের কাজের পুনরাবৃত্তি এবং এই অঞ্চলে সহিংসতা বৃদ্ধির ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যাবে। ফলাফল এখন সবার জন্য পরিষ্কার।
এদিকে নিরাপত্তা পরিষদকে তেহরান বলেছে, আত্মরক্ষার যে অধিকার রয়েছে সেটিরই ব্যবহার করেছে ইরান। সম্প্রতি দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে ইসরাইলের হামলার কথা তুলে ধরে আমির সাইয়েদ ইরাভানি বলেন, এ কারণেই তেহরানের কাছে পাল্টা জবাব দেয়া ছাড়া কোনো বিকল্প ছিল না।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে ইসরাইলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে কয়েক ডজন ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরান। তাদের সঙ্গে হামলায় যোগ দেয় ইয়েমেনের ইরানপন্থি সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি। এরপর লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকেও ইসরাইলে রকেট হামলা চালানো হয়েছে বলে জাননো হয়।
তবে ৯৯ শতাংশ আক্রমণ প্রতিহত করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরাইল। হামলায় একটি ঘাঁটির সামান্য ক্ষতি হয়েছে বলে জানায় ইসরাইল।