প্রকাশিত: এপ্রিল ১৪, ২০২৪, ১১:১৮ পিএম
ইসরাইলকে লক্ষ্য করে একটানা পাঁচঘন্টা হামলা চালায় ইরান। দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে সেনাদের বিমান হামলার জবাবে ইসরাইলকে লক্ষ্য করে ব্যাপকভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায় ইরান। এই হামলায় বিপুল পরিমাণ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়। প্রতিশোধমূলক এই হামলায় প্রত্যাশার চেয়েও বেশি সাফল্যে পেয়েছে বলে দাবি করেছে ইরান।
সিএনএন জানিয়েছে, শনিবার দিবাগত গভীর রাতে ইরানের চালানো এ হামলা ৫ ঘণ্টা স্থায়ী হয়েছিল। দুই মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আল-জাজিরার প্রতিরক্ষা সংবাদদাতা অ্যালেক্স গ্যাটোপলাস এক বিশ্লেষণে জানিয়েছেন, ইরান ইসরাইলে ড্রোন, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও প্রায় ১১০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। ড্রোনগুলো আকারে ছোট ছিল এবং ‘সস্তা ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের মতো’ তা ব্যবহার করা হয়েছে। ইসরাইলের নেভাতিম বিমানঘাঁটিতে অন্তত ১৫টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছিল। তবে ইসরাইল এর মধ্যে অধিকাংশই ধ্বংস করে দিয়েছে।
ইরানের সংবাদ সংস্থা ইসনা বলেছে, ইসরাইলে পৌঁছাতে সক্ষম এমন ৯টি ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে আছে ২ হাজার ৫০০ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে ঘণ্টায় ১৭ হাজার কিলোমিটারের বেশি গতিতে আঘাত হানতে পারা সেজিল। আরও আছে ২ হাজার কিলোমিটার দূরত্বে আঘাত হানতে পারা খাইবার ও এক হাজার ৪০০ কিলোমিটার দূরত্বে আঘাত হানতে সক্ষম হাজ কাশেম।
ইসরাইলের ওপর যে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে তাতে প্রায় ১০ কোটি ডলারের ক্ষতির মুখে পড়েছে দখলদার সরকার। মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি গণমাধ্যম এ খবর দিয়েছে।
ইসরাইলের চ্যানেল ফোর্টিন বলেছে, কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলের দখলীকৃত বিরশেবা অঞ্চল থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত আরাদে আঘাত করেছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়।
এছাড়া বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলীয় উম্মুল ফাহম শহরে আঘাত হেনেছে। এই হামলার পর সেখানে জরুরিভিত্তিতে উদ্ধার ও চিকিৎসা কর্মীদের পাঠানো হয়।
এর পাশাপাশি বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইল অধিকৃত নেগেভ মরুভূমির নাভাতিম বিমানঘাঁটিতে আঘাত হানে।