প্রকাশিত: এপ্রিল ১৪, ২০২৪, ০৮:৩৭ পিএম
ইসরাইলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় একটি গোয়েন্দা ঘাঁটি ও একটি বিমানঘাঁটি ধ্বংস করেছে ইরান। দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মোহাম্মদ বাগেরি এ দাবি করেছেন।
রোববার ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত একটি টেলিভিশন চ্যানেলে দেওয়া ভাষণে তিনি এ দাবি করেন। খবর এএফপি।
সিরিয়ায় কনস্যুলেটে ইসরাইলি হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর দুই শীর্ষ কমান্ডারসহ ১১ জন নিহত হওয়ার পর প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দেয় তেহরান। সেই ঘোষণার সূত্র ধরে গত শনিবার রাতে ‘অপারেশন ট্রুথফুল প্রমিজের’ আওতায় ইসরাইলে হামলা চালায় ইরান। পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলা সেই হামলায় তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে তেহরান।
ইরান বলেছে, দামেস্কে তাদের কনস্যুলেটে হামলার জবাব দিয়েছে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এবং তা সীমিত আকারে। হামলায় ইরান ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, ক্রুড ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ব্যবহার করেছে।
এ হামলাকে সফল বলে আখ্যা দিয়েছেন মোহাম্মদ বাগেরি। তিনি বলেন, গতকাল কোনো বেসামরিক ও অর্থনৈতিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়নি। শুধু সামরিক স্থাপনাগুলো লক্ষ্য করা হয়েছে। বিশেষ করে হেরমন পর্বতে ইসরাইলের একটি গোয়েন্দা ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে। দামেস্ক কনস্যুলেটে হামলায় ওই ঘাঁটি জড়িত।
তিনি বলেন, নেগেভ মরুভূমিতে ইসরাইলের নেভাতিম বিমানঘাঁটিতেও হামলা হয়েছে। সেখান থেকে ইসরাইলের যুদ্ধবিমানগুলো কনস্যুলেটে হামলা চালিয়েছিল।
ইরানের হামলায় এই দুটি লক্ষ্যবস্তুই ‘উল্লেখযোগ্যভাবে ধ্বংস হয়েছে এবং সেগুলোকে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে’ জানিয়ে এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, গতকালের হামলার চেয়ে ‘১০ গুণ শক্তিশালী’ হামলা চালাতে সক্ষম তেহরান।
ইরানের এ হামলার জবাবে ইসরাইল ‘অনেক বড় পরিসরে’ হামলা চালাতে পারে বলেও বাগেরি সতর্ক করেছেন। তবে ইসরাইল যদি এ হামলার জবাব না দেয়, তাহলে দেশটিতে আর কোনো হামলার পরিকল্পনা তেহরানের নেই বলে জানান তিনি ।