প্রকাশিত: এপ্রিল ১৪, ২০২৪, ০৪:১৯ পিএম
ভারত-ইসরাইল সম্পর্ক বেশ মধুর।ঐতিহাসিকভাবে ইরানের সঙ্গেও চিরকাল সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে দেশটি। এই পর্যায়ে ইসরাইলের ওপর ইরানের হামলা নিয়ে কোনো পক্ষের নিন্দা জানায়নি ভারত। তবে কূটনৈতিক ভারসাম্য বজায় রেখে উত্তেজনা কমিয়ে শান্তি ফিরিয়ে আনার বার্তা দিয়েছে নয়াদিল্লি।
হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত নিজেদের সরকারি বিবৃতিতে বলেছে, `পশ্চিম এশিয়ায় ইসরাইল এবং ইরানের মধ্যে যে সংঘর্ষ হচ্ছে তাতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। এ নিয়ে আমরা ভীষণ উদ্বিগ্ন। গোটা এলাকার নিরাপত্তা এতে বিঘ্নিত হতে পারে। আমরা তাই উভয় পক্ষকেই আহ্বান জানাচ্ছি যাতে দ্রুত পরিস্থিতি শান্ত করা হয়। কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে যাতে বিষয়টির মীমাংসা করা হয়। আমরা খুব মন দিয়ে এই পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি।`
এদিকে বিগত বছরগুলোতে মধ্যপ্রাচ্যের বহু দেশে বহু ভারতীয় কর্মসূত্রে থাকতে শুরু করেছেন। ইসরাইলেও কয়েক হাজার ভারতীয় রয়েছেন।
এই প্রসঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই অঞ্চলে অবস্থিত ভারতের সবকয়টি দূতাবাস থেকেই সেখানকার ভারতীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপকূলের কাছ থেকে একটি পণ্যবাহী বাণিজ্যিক জাহাজ আটক করে ইরান। পর্তুগালের পতাকাবাহী সেই জাহাজের সঙ্গে ইসরাইলের যোগ আছে, এমনটাই বলা হচ্ছে। সেই জাহাজের ২৫ জন ক্রু`র মধ্যে ১৭ জনই ভারতীয়। তারা আপাতত ইরানে আটক রয়েছেন। এই আবহে তাদের ফেরানোর জন্য ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে ভারত।
প্রসঙ্গত, রোববার ভোর হতে না হতেই ইসরাইলের ওপর রকেট ও ড্রোন হামলা চালায় ইরান। এর কয়েকদিন আগে সিরিয়ায় ইরানের কন্সুলেটে হামলা হয়েছিল। তাতে এক জেনারেলসহ উচ্চপদস্থ ৭ কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছিল। সেই ঘটনার পর থেকেই ইসরাইলে হামলার হুঁশিয়ারি দিচ্ছিল ইরান। ওই হামলার ঘটনা ইসরাইল স্বীকার না করলেও অস্বীকার করেনি। এই পরিস্থিতিতেই ইরান ইসরাইলে হামলা চালাল।
এদিকে ইসরাইলের সাহায্যে লোহিত সাগর অঞ্চলে ব্রিটিশ এবং মার্কিন রণতরী মোতায়েন করা হয়েছে।