প্রকাশিত: এপ্রিল ১১, ২০২৪, ১১:২৮ পিএম
দামেস্কে ইরানি দূতাবাসে ইসরাইলের হামলার জবাবে প্রতিশোধের হুঙ্কার দিয়েছে তেহরান। তাই যেকোনো সময় হামলা হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ কারণে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে এক ধরনের উত্তেজনা বিরাজ করছে। এর মধ্যে তেহরানগামী ফ্লাইট স্থগিত করেছে জার্মান এয়ারলাইন্স লুফথানসা। খবর রয়টার্সের।
বলা হচ্ছে, ইসরাইলে বড় ধরনের ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র বা ড্রোন হামলা যেকোনো সময়ে হতে পারে। ইরান এ জন্য ইসরাইলের সরকারি ও সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করতে পারে। বিভিন্ন গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এরপরই ইসরাইলের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
ইরানের একটি বার্তা সংস্থা আরবি ভাষায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, সামরিক মহড়ার জন্য তেহরানের আকাশে সব ধরনের বিমান চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। তবে পরে প্রতিবেদনটি প্রত্যাহার করা হয় এবং এমন প্রতিবেদন প্রকাশের কথা অস্বীকার করে বার্তা সংস্থাটি।
গত ১ এপ্রিল দামেস্কে ইসরাইলি বিমান হামলায় সিরিয়া ও লেবাননে ইরানের সেনাবাহিনীর এলিট ফোর্স আইআরজিসির দুই শীর্স কমান্ডারসহ অন্তত ৮ জন কর্মকর্তা নিহত হন। এরপর থেকে ইরানের শীর্ষ সামরিক ও সরকারি কর্মকর্তারা বারবার প্রতিশোধের হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছেন।
বুধবার (১০ এপ্রিল) ঈদের খুতবায় ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ফের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালানোর জন্য ইহুদিবাদী ইসরাইলকে শাস্তি পেতেই হবে।
তিনি বলেন, ইহুদিবাদী সরকার আরেকটি ভুল করেছে এবং তারা দামেস্কের ইরানি কনুস্যলেটে হামলা চালিয়েছে। কোনো দেশের কনস্যুলেটসহ অন্যান্য কূটনৈতিক মিশন ওই দেশের ভূখণ্ড বলে বিবেচিত হয়। তারা যখন আমাদের কনস্যুলেটে হামলা চালিয়েছে তখন মূলত তারা আমাদের ভূখণ্ডে হামলা চালিয়েছে।
এদিকে দূতাবাসে বিমান হামলার পর থেকে ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ অতিরিক্ত সতর্ক রয়েছে। যেকোনো সময় হামলা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) লুফথানসা জানায়, তেহরানগামী ও তেহরান থেকে অন্যান্য শহরগামী তাদের ফ্লাইটগুলো আগামী শনিবার (১৩ এপ্রিল) পর্যন্ত স্থগিত থাকবে।
তেহরানে ফ্লাইট পরিচালনাকারী পশ্চিমা দুটি এয়ারলাইন হলো লুফথানসা ও এর মালিকানাধীন অস্ট্রিয়ান এয়ারলাইন্স। দেশটির বেশিরভাগ বিমানযাত্রী বহন করে তুর্কি ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন এয়ারলাইন কোম্পানি। অস্ট্রিয়ান এয়ারলাইন্স ফ্লাইট স্থগিত করেনি। তবে তারা শিডিউল পুনর্বিন্যাসের ঘোষণা দিয়েছে।