• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন

ইরানের হামলার লক্ষ্য ইসরাইলের সরকারি ও সামরিক স্থাপনা

প্রকাশিত: এপ্রিল ১১, ২০২৪, ০৪:৫০ পিএম

ইরানের হামলার লক্ষ্য ইসরাইলের সরকারি ও সামরিক স্থাপনা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইসরাইলে বড় ধরনের ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র বা ড্রোন হামলা যেকোনো সময়ে হতে পারে।  ইরান এ জন্য ইসরাইলের সরকারি ও সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করতে পারে। বিভিন্ন গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এরপরই ইসরাইলের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

ইরান সম্ভাব্য হামলার ক্ষেত্রে উচ্চ নির্ভুল লক্ষ্যমাত্রার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করতে পারে। এবং আগামী কয়েক দিনের মধ্যে এই হামলা সংঘটিত হতে পারে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র ইসরাইলি ও মার্কিন গোয়েন্দা মূল্যায়নের ভিত্তিতে জানিয়েছে, ইরান সম্ভাব্য হামলার ক্ষেত্রে উচ্চ নির্ভুল লক্ষ্যমাত্রার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করতে পারে। এবং আগামী কয়েক দিনের মধ্যে এই হামলা সংঘটিত হতে পারে।

সিরিয়ায় ইরানি কনস্যুলেটে ইসরাইলি হামলায় দেশটির বিপ্লবী গার্ডবাহিনীর (আইআরজিসি) দুই শীর্ষ জেনারেল নিহত হন। সেই ঘটনার পর ইরান ইসরাইলের ওপর প্রতিশোধ দেওয়ার প্রতিজ্ঞা করে। তারপর থেকেই অঞ্চলটিতে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে।

ইসরাইল তার মিত্র দেশগুলোকে জানিয়েছে—গাজায় আরও একটি বড় ধরনে অভিযান শুরুর আগে তারা ইরানি হামলার অপেক্ষা করছে। 

অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, ইসরাইলের পশ্চিমা মিত্ররা দেশটির সরকারকে জানিয়েছে— ইরান ইসরাইলের সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করলেও বেসামরিক স্থাপনায় হামলা চালাবে না বলেই মনে হয়। এ ব্যাপারে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ইসরাইলকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করছে।

সূত্রটি আরও জানিয়েছে, ইসরাইল তার মিত্র দেশগুলোকে জানিয়েছে—গাজায় আরও একটি বড় ধরনে অভিযান শুরুর আগে তারা ইরানি হামলার অপেক্ষা করছে। তবে ইরানি হামলা বা গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর স্থল অভিযান কবে শুরু হবে সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানা যায়নি।

ইসরাইলের মিত্র দেশগুলোর গোয়েন্দারা জানিয়েছে, ইসরাইলে সরাসরি ইরান থেকেই হামলা করা হবে এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই। বরং লেবাননে থাকা ইরানের প্রক্সি গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ এই হামলা চালাতে পারে। একটি সূত্র জানিয়েছে, ইসরায়েলি কর্মকর্তারা মিত্র দেশগুলোর গোয়েন্দা মূল্যায়নকে আমলে নিয়েছে

আর্কাইভ