প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৪, ০৮:৪৫ এএম
নির্বাচনের ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও পাকিস্তানে কোনো দলই সরকার গঠনের মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেখাতে পারেনি। এ অবস্থায় কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দেশটিতে সরকার গঠন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে।
রোববার ইসলামাবাদে সংবাদ সম্মেলনে পিটিআই মনোনীত প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী ওমর আইয়ুব খান এ মন্তব্য করেন। খবর দ্য ডনের।
অন্যদিকে পাকিস্তান মুসলিম লীগ নওয়াজ (পিএমএল-এন) এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) জোট সরকার গঠনের জন্য ক্ষমতা ভাগাভাগির ফর্মুলা নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছতে ব্যর্থ হয়েছে। তবে দুই পক্ষই আলোচনায় ‘গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি’ হয়েছে বলে দাবি করেছে।
শনিবার দুই দলের মধ্যে যোগাযোগ ও সমন্বয় কমিটির (সিসিসিএস) তৃতীয় বৈঠক হয়েছে। কিন্তু বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ সোমবার দুই দল আবার বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এদিকে পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডির পদত্যাগী নির্বাচন কমিশনার লিয়াকত আলী চাতাকে নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক ঝড়। গত শনিবার তিনি ভোট জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকার ব্যাপারে সাংবাদিকদের কাছে স্বীকারোক্তি দেন। তিনি বলেন, রাওয়ালপিন্ডির ছয়টি জেলার ১৩টি আসনের ফল পরিবর্তন করে জনগণের ম্যান্ডেট চুরি করা হয়। তিনি বলেন, ৭০ হাজার ভোটে এগিয়ে থাকা প্রার্থীকেও পরাজিত ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি নিজের বিচার চান এবং এরপরই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। পুলিশ তাঁর কার্যালয়টি সিলগালা করে দিয়েছে। তাঁকে অজ্ঞাত স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
চাতারের স্বীকারোক্তির তদন্তের জন্য বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের দাবি করেছেন পিটিআই চেয়ারম্যান গহর খান এবং প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী ওমর আইয়ুব।
এদিকে লাহোরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় জামায়াতে ইসলামীর আমির সিরাজুল হক ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে পাকিস্তানের ইতিহাসে সবচেয়ে ‘দূষিত ও কুখ্যাত’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, কারচুপির নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকার স্থায়ী হবে না। তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিকান্দার সুলতান রাজার অবিলম্বে পদত্যাগ দাবি করেছেন।