প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৪, ০৬:৫০ পিএম
পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচন এবার বেশ বিতর্কের মুখে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি আলোচিত ছিল নির্বাচনের দিন ইন্টারনেট ও মোবাইল পরিষেবা বন্ধের বিষয়টি।
নির্বাচনের দিন মোবাইল পরিষেবা বন্ধের কড়া সমালোচনা করেছে আন্তর্জাতিক মহল। দেশটির নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে দেশজুড়ে বিক্ষোভ ডেকেছে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)।
এবার ভোট জালিয়াতি ও অনিয়মের স্বীকার করে পদত্যাগ করলেন রাওয়ালপিন্ডির কমিশনার লিয়াকত আলী চট্টা। তিনি প্রশ্ন করে বলেন, জাতিকে সত্যটা উন্মোচন না করে কেন আমি অনৈসলামিক পন্থায় মারা যাব?
কমিশনার আমলাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, রাজনীতিবিদদের জয়ী করার জন্য কোনো পাপ করা উচিত নয়।
তিনি বলেন, তার এলাকার আসনে যাকে পরাজিত ঘোষাণা করা হয়েছে তিনি ৫০ হাজার ভোটে এগিয়ে ছিলেন।
পাকিস্তানে ভোটগ্রহণ শেষ হয় ৮ ফেব্রুয়ারি। এরপর চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশে সময় লাগে তিন দিন। কিন্তু এতে দেখা যায়, এককভাবে সরকার গঠনের জন্য কোনো দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। এমনকি নির্বাচনপরবর্তী জোট গঠন নিয়েও জটিল পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে। কোনো দলই ঐক্যমতে পৌঁছাতে পারছে না।
তাছাড়া বড় ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে এখনো বিক্ষোভ দেখাচ্ছে ইমরান খানের তেহরিক-ই-ইনসাফ। দলটির দাবি, তাদের সমর্থিত প্রার্থীরা ১৫০টির বেশি আসনে জয় পেলেও তা কারচুপি করে ৯২টি করে দেওয়া হয়েছে। ফলে জোট গঠন করে কারা দেশটিতে নতুন সরকার গঠন করবে তা এখনো স্পষ্ট নয়।