• ঢাকা শনিবার
    ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

অ্যান্টার্কটিকাকে নিজেদের বলে দাবি ইরানের

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৪, ০৯:০১ পিএম

অ্যান্টার্কটিকাকে নিজেদের বলে দাবি ইরানের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশকে নিজেদের বলে দাবি করেছে ইরান। দেশটির নৌবাহিনীর কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল শাহরাম ইরানি এক টিভি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, অ্যান্টার্কটিকার মালিক ইরান সরকার এবং সেখানে সামরিক স্থাপনা তৈরির পরিকল্পনা আছে তাদের। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজ এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।

গত সেপ্টেম্বরের শেষদিকে সাক্ষাৎকারটি দিয়েছিলেন ইরানের নৌবাহিনীর কমান্ডার। ইরানের একটি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত সাক্ষাৎকারটি সেই সময় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর দৃষ্টিগোচর হয়নি।

সম্প্রতি ফক্স নিউজে সাক্ষাৎকারটি প্রচার হওয়ার পর এ নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। সাক্ষাৎকারটি অনুবাদ করেছে ওয়াশিংটন ডিসি-ভিত্তিক সংস্থা মিডল ইস্ট মিডিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এমইএমআরআই)।

সাক্ষাৎকারে রিয়ার অ্যাডমিরাল শাহরাম ইরানি বলেন, ‘দক্ষিণ মেরুতে আমাদের সম্পত্তিগত অধিকার আছে। সেখানে ইরানের পতাকা উত্তোলনের পরিকল্পনা আছে আমাদের। সেই সঙ্গে ইরানের সামরিক এবং বৈজ্ঞানিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার কথাও ভাবা হচ্ছে।’

গত মাসে জর্ডানে ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর ড্রোন হামলায় তিন মার্কিন সেনা নিহত হন। এরপর ইরাক ও সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের সঙ্গে যুক্ত লক্ষ্যবস্তুগুলোতে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। এমন পরিস্থিতিতে ইরানের নৌবাহিনীর কমান্ডারের এই দাবি নতুন করে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

কাতারে রাখা ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ৬০০ কোটি ডলার স্থগিতের আদেশ সম্প্রতি তুলে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের দাবির সঙ্গে এ সিদ্ধান্তের সংযোগ নিয়েও ভাবছেন অনেকে।

ফক্স নিউজ ডিজিটাল এ প্রসঙ্গেই মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের একজন মুখপাত্রকে জিজ্ঞেস করেছিল যে, অ্যান্টার্কটিকায় সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করতে সেই অর্থ ব্যয় করতে পারবে কিনা ইরান।

স্টেট ডিপার্টমেন্টের সেই মুখপাত্র বলেছেন, সে রকম ঘটার সুযোগ নেই। কাতারে রাখা ইরানের তহবিল অ্যান্টার্কটিকায় কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে না। কারণ এ তহবিলের অর্থ শুধুমাত্র খাদ্য, ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং কৃষিপণ্যের মতো মানবিক ও জনকল্যাণমূলক বিভিন্ন খাতে ব্যয় করা হবে।

ওয়াশিংটনের নিষেধাজ্ঞার কারণে দক্ষিণ কোরিয়ায় আটকা পড়েছিল তেহরানের ৬০০ কোটি ডলার। সেই অর্থ কাতারের ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলোতে পাঠানো হয়েছে; যা ইরানের কাছে ফেরত যাবে।

গত মাসের শেষদিকে ইরানের কারাগারে বন্দি যুক্তরাষ্ট্রের ৫ নাগরিককে মুক্তি দেওয়ার বিনিময়ে জব্দ করা ৬০০ কোটি ডলার ছেড়ে দিয়েছে ওয়াশিংটন।

 

 

আন্তর্জাতিক সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ