প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৪, ০৬:১০ পিএম
পাকিস্তানের ক্ষমতার রাজনীতির রঙ্গমঞ্চে নানা খেলা চলছে। সাধারণ নির্বাচনে ইমরান সমর্থিত স্বতন্ত্ররা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও সরকার গঠন করতে পারছেন না। পিটিআই সরকারকে ফেলে দেওয়ার আন্দোলনকারীরা সরকার গঠন করতে যাচ্ছেন।
পাকিস্তান মুসলিম লিগ ও পিপিসি নেতাদের ক্ষমতার ভাগাভাগি জেলে বসে দেখছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি দলীয় নেতাদের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রকে একটি বিশেষ বার্তা দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার আদিয়ালা জেলে ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাত করেন পিটিআই নেতা ব্যারিস্টার মোহাম্মদ আলি সাইফ ও জাতীয় পরিষদের সাবেক স্পিকার আসাদ কায়সার। বৈঠক শেষে গণমাধ্যমে ব্রিফ করেন তারা। নেতারা বলেন, ভোট ডাকাতির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের জোরালো অবস্থান কামনা করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। খবর এক্সপ্রেস ট্রিবিউন ও জিও নিউজের।
সাইফ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে একটি বিশেষ বার্তা দিয়েছেন ইমরান খান। তিনি (ইমরান) বলেছেন, পিটিআইর বিরুদ্ধে যেসব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সে বিষয়ে কোনো দায়িত্ব পালন করেনি। যুক্তরাষ্ট্র সর্বদা একনায়ক ও দুর্নীতিবাজদের পৃষ্টপোষকতা দিয়ে আসছে।
ইমরান খান বলেন, অতীতের ভুল শোধরানোর সুযোগ এসেছে ওয়াশিংটনের। পাকিস্তানে যে ভোট কারচুপি হয়েছে সে বিষয়ে এখন দৃষ্টি দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।
‘পাকিস্তানে স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য সুর উঁচু করা যুক্তরাষ্ট্রের দায়িত্ব।`
আসাদ কায়সার বলেন, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে ভোট কারচুরি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নীরব অবস্থানে পিটিআই উদ্বিগ্ন।
তিনি বলেন, গোটা বিশ্বে গণতন্ত্রের জন্য সোচ্ছার যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু পাকিস্তানে ভোট ডাকাতির বিষয়ে এখন নিশ্চুপ ভূমিকা রাখছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ।
ইমরান খানের বরাত দিয়ে আসাদ কায়সার বলেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপকে আরেকবার গণতন্ত্রের প্রতি তাদের অঙ্গীকারকে মনে করিয়ে দিয়েছেন। পাকিস্তানে গণতান্ত্রিক অধিকার ক্ষুণ্ন হয়েছে। আমরা আইনের শাসন চাই, সাংবিধানিক শাসন চাই।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে ইমরান খান সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। তবে পাকিস্তান মুসলিম লিগ ও পিপিপি মিলে সরকার গঠন করছে।