প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৪, ০৬:০৫ পিএম
পাকিস্তানের রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপের বিষয়টি সবারই জানা। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ইমরান খানকেও তৎকালীন সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়ার নির্দেশে অনাস্থা প্রস্তাব এনে সরানো হয়েছিল। এ তথ্য জানালেন পাকিস্তানের রাজনৈতিক দল জমিয়তে উলেমা-ই-ইসলামের (জেইউআই–এফ) আমির মাওলানা ফজলুর রেহমান। খবর জিও নিউজের
বৃহস্পতিবার দেশটির একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ দাবি করেন তিনি।
ওই সময়ের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে ফজলুর রেহমান বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে অনাস্থা প্রস্তাবের বিপক্ষে ছিলাম। কিন্তু অন্য দলগুলোর চাপাচাপির মুখে আমি যদি না বলতাম, তাহলে আমি পিটিআই প্রতিষ্ঠাতাকে রক্ষা করছি বলে আমার ওপর একটি তকমা লাগানো হতো।
ইমরান খান নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান তেহেরিক–ই–ইনসাফ (পিটিআই) সরকার উৎখাতের পর পিএমএল–এনের প্রেসিডেন্ট শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বে জোট সরকার গঠন হয়। ওই সরকারই ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আগে ১৬ মাস পাকিস্তান শাসন করে।
সাক্ষাৎকারে ফজলুর রেহমান বলেন, পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে তৎপরতা চালাচ্ছিল। তখন লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফাইজ হামিদ (তৎকালীন আইএসআই প্রধান) আমাকে বলেছিলেন যে, আমি যা চাই তা করতে পারি। কিন্তু তা এই ব্যবস্থার মধ্যে থেকে করতে হবে।
ফজলুর রেহমান বলেন, জেনারেল হামিদ তাকে বলেছিলেন, তিনি এই ব্যবস্থার বাইরে গিয়ে কিছু করতে পারবেন না। অর্থাৎ যা কিছু করার তা পার্লামেন্টের ভেতরেই করতে হবে। রাজপথে কিছু করা যাবে না।
এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন যে পরে বেলুচিস্তান আওয়ামী পার্টি (বিএপি), মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট–পাকিস্তান (এমকিউএম–পি) এবং অন্যরা পিটিআই সরকার থেকে সরে গিয়েছিল।