প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৪, ০৬:০২ পিএম
নির্বাচন বাতিল চেয়ে পাকিস্তানের সুপ্রিমকোর্টে আবেদন করা হয়েছে। এই আবেদনের শুনানিতে সম্মতি দিয়েছে তিন সদস্যের বেঞ্চ।
পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি কাজী ফয়েজ ঈসা বিচারপতি মোহাম্মদ আলী মাজহার ও বিচারপতি মুসারাত হিলালির এই বেঞ্চের নেতৃত্ব দেবেন। আবেদনে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) ও ফেডারেল সরকারকে বিবাদী করা হয়েছে।
৩০ দিনের মধ্যে নতুন করে নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়ে আলী খান নামের এক নাগরিক আবেদন করেছেন। ন্যায্যতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে বিচার বিভাগের তত্ত্বাবধানে সাধারণ নির্বাচনের দাবি করা হয়েছে আবেদনে। পাশাপাশি মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নতুন সরকার গঠনের ওপর স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়েছে।
৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ইমরান খানের রাজনৈতিক দল তেহরিক-ই-ইনসাফ সমর্থিত প্রার্থীরা ৯২ আসনে জয় পায়। নওয়াজ শরিফের দল ৭৫ ও পাকিস্তান পিপলস পার্টি ৫৪ আসনে জয় পায়। তবে সরকার গঠনের জন্য কোনো দলই এককভাবে সরকার গঠনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। তাই চলছে জোট নিয়ে আলোচনা। তাছাড়া নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ করা হয়েছে পিটিআইয়ের পক্ষ থেকে।
এদিকে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী সম্পর্কে নতুন তথ্য দিয়েছে জমিয়তে উলেমা-ই-ইসলামের (জেইউআই–এফ) আমির মাওলানা ফজলুর রেহমান। তিনি বলেছেন, ইমরান খানকে তৎকালীন সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়ার নির্দেশে অনাস্থা প্রস্তাব এনে সরানো হয়েছিল। বৃহস্পতিবার দেশটির একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ দাবি করেন তিনি।
ওই সময়ের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে ফজলুর রেহমান বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে অনাস্থা প্রস্তাবের বিপক্ষে ছিলাম। কিন্তু অন্য দলগুলোর চাপাচাপির মুখে আমি যদি না বলতাম, তাহলে আমি পিটিআই প্রতিষ্ঠাতাকে রক্ষা করছি বলে আমার ওপর একটি তকমা লাগানো হতো।