প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৪, ১২:০৫ এএম
রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) ও যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য মিত্র রাষ্ট্রগুলো। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের দুই বছরপূর্তি উপলক্ষে এ সপ্তাহে বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে এ বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে মার্কিন এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, ওয়াশিংটন ও তার মিত্ররা রাশিয়াকে ‘শক্তিশালী’ নিষেধাজ্ঞা দিতে প্রস্তুত; কিন্তু বার্তা সংস্থাটি এ নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে গিয়ে বলেছে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে এর চেয়ে বেশি কিছু বলেননি মার্কিন ওই কর্মকর্তা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন যে নিষেধাজ্ঞা আসবে তা ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দিয়ে হবে কিনা সেটি নিয়ে সন্দেহ আছে। কারণ ইউক্রেনের জন্য বরাদ্দকৃত টাকা কমে গেছে বাইডেন প্রশাসনের। আর এদিকে রিপাবলিকান-নিয়ন্ত্রিত প্রতিনিধি পরিষদে অতিরিক্ত তহবিলের জন্য একটি আবেদন ঝুলে আছে।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের দুই বছরপূর্তি উপলক্ষ্যে আলোচনার বিষয়বস্তু উল্লেখ করে কর্মকর্তা বলেন, এ সভায় ইউক্রেনের হাজার হাজার মানুষকে হত্যা বা শহর ধ্বংস করা হয়েছে সেই আলোচনা হয়নি। শুধু রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
কর্মকর্তা বলেন, ব্রাসেলসে ইইউ, যুক্তরাজ্য ও ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞা কার্যকর এবং নতুন পদক্ষেপ সমন্বয় করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ওয়াশিংটন। কর্মকর্তা আরও বলেন, রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রভাবের পাশাপাশি বিভিন্ন ঝুঁকি ও সুপারিশ নিয়ে আলোচনা করেছে অংশীদাররা।
এছাড়া পৃথকভাবে বুধবার ব্রাসেলসে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার ১৩তম প্যাকেজ কী হবে তা নিয়ে প্রথম আলোচনা করেছেন ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের ২৭ দূত।
এদিকে হাঙ্গেরিকে ইঙ্গিত করে ইইউর একজন কর্মকর্তা বলেন, প্রস্তাবিত প্যাকেজের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছেন সব প্রতিনিধি। শুধু একজন প্রস্তাবের বিষয়বস্তু বিশ্লেষণ করার জন্য সময় চেয়েছেন।
কর্মকর্তা বলেন, ইইউর নতুন নিষেধাজ্ঞায় রাশিয়ার প্রায় ২০০ জন ব্যক্তি ও সংস্থাকে কালো তালিকাভুক্ত করা হতে পারে; কিন্তু এ প্রস্তাবে কোনো আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকবে না।
মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের ফরেন অ্যাসেট কন্ট্রোল অফিসের সাবেক পরিচালক জন স্মিথ বলেন, নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি ও কোম্পানির পাশাপাশি রাশিয়ার অর্থনীতিতে অতিরিক্ত খাত অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।