প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৪, ০৯:৫২ এএম
পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবার। শেষ হওয়ার প্রায় ১২ ঘণ্টা পর ফল ঘোষণা শুরু হয়েছে। দীর্ঘ এই সময় ধরে ফল ঘোষণা না করা বা ফল সম্পর্কে স্পষ্ট করে কিছু জানা না যাওয়ায় প্রশ্ন উঠেছিল।
শুক্রবার যদিও ফল ঘোষণা শুরুর পর পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এগিয়ে রয়েছেন বলে দেখা যাচ্ছে। খবর এএফপির।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কারাগারে বন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দলের সঙ্গে যুক্ত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পাকিস্তানের নির্বাচনে এগিয়ে রয়েছেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফকে (পিটিআই) দল হিসাবে বৃহস্পতিবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেওয়া হয়নি। এমনকি তাদের নির্বাচনি প্রতীকও ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল। আর তাই ইমরানের দলের প্রার্থীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
পাকিস্তানের স্থানীয় টিভি চ্যানেলগুলোতে অনানুষ্ঠানিক ফলে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বেশিরভাগ নির্বাচনি এলাকায় এগিয়ে রয়েছেন বলে দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে ইমরানের দলের মনোনয়ন দেওয়া ডজনখানেক অভিষিক্ত প্রার্থীও রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর গণনা শুরু হয়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর খবর অনুযায়ী, ১২৫ আসনে এগিয়ে রয়েছেন ইমরান খানের প্রার্থীরা। প্রতিদ্বন্দ্বী নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন প্রার্থীরা এগিয়ে মাত্র ৪৪ আসনে। আর বিলাওয়াল ভুট্টো-জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টি এগিয়ে মাত্র ২৮ আসনে।
৩৩৬ আসনে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ১৬৯ আসন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার ১১ ঘণ্টারও বেশি সময় পর স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোর সাড়ে ৪টায় প্রথম আসনের ফল ঘোষণা করা হয়। সেই আসনটিতে জয় পায় ইমরানের দল পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী। এর পর আরও কয়েকটি আসনের ফল ঘোষণা করা হয়েছে।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রকাশিত পরিসংখ্যান বলছে, এখন পর্যন্ত প্রকাশিত আনুষ্ঠানিক ফলে ইমরানের দল পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬আসনে, নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন প্রার্থীরা ৩ আসনে এবং বিলাওয়াল ভুট্টো-জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টির প্রার্থীরা ৪ আসনে জয় পেয়েছেন।