• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

জাপানে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬২

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩, ২০২৪, ১১:১৪ এএম

জাপানে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

পূর্ব এশিয়ার দেশ জাপানে নতুন বছরের প্রথম দিনে আঘাত হানে শক্তিশালী ভূমিকম্প। এর পর থেকে নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এখন পর্যন্ত নিহত মানুষের সংখ্যা ৬২ জনে দাঁড়িয়েছে।

এদিকে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।  খবর এএফপির।

বুধবারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সোমবারের শক্তিশালী ভূমিকম্পের জেরে জাপানে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬২ জনে পৌঁছেছে। উদ্ধারকারীরা বেঁচে যাওয়াদের সন্ধানে বুধবারও মরিয়া হয়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছেন।

গত সোমবার জাপানের ইশিকাওয়া অঞ্চলটি ছিল ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল, যার ফলে সমুদ্রে বড় বড় ঢেউয়ের সৃষ্টি হয় এবং বহু ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্থানীয় সময় ৪টা ১০ মিনিটে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। ভূমিকম্পটি হোনশু দ্বীপের নোটো প্রদেশে আঘাত করলে সেখানকার কর্মকর্তারা উপকূলীয় এলাকার লোকজনকে উঁচু জায়গায় সরে যাওয়ার আহ্বান জানান।

এই ভূমিকম্পে সার্বিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো অজানা, তবে বেশ কয়েকটি শহরে বহু ভবন ধসে পড়েছে এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে বেশ কিছু মানুষ আটকাও পড়েছেন।

এএফপি বলছে, ইশিকাওয়া অঞ্চলের নোটো প্রদেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে। সেখানে শত শত বিল্ডিং আগুনে পুড়ে গেছে এবং ঘরবাড়ি মাটিতে মিশে গেছে। 
আঞ্চলিক সরকার মঙ্গলবার রাতে জানিয়েছে, ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ৬২ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে এবং আরও ২২ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।

তবে আফটারশক এবং খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে ধ্বংসস্তূপে অনুসন্ধান চালিয়ে যাওয়ায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে উদ্ধারকারীরা। ৩১ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন বলেও জানিয়েছে তারা।

ইউএসজিএস জানিয়েছে, জাপানের হোনশু দ্বীপের ইশিকাওয়া প্রিফেকচারে আঘাত হানা ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৭.৫।

তবে জাপানি কর্তৃপক্ষ এই কম্পনকে ৭.৬ মাত্রার বলে অভিহিত করেছে। দেশটি বলেছে, গত সোমবার থেকে জাপানে ২১০টিরও বেশি ভূমিকম্প হয়েছে।

প্রসঙ্গত, জাপান প্রতি বছর শত শত ভূমিকম্পের সম্মুখীন হয়ে থাকে এবং দেশটির জনগণের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশই এতে কোনো ক্ষতির শিকার হয় না। তবে ২০১৮ সাল থেকে নোটো উপদ্বীপ অঞ্চলে ভূমিকম্পের সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে গত বছর জাপান সরকারের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

আর্কাইভ