প্রকাশিত: জুলাই ৭, ২০২১, ০৯:২৯ পিএম
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জরিমানা
করেছেন আদালত। বিচার ব্যবস্থাকে কলুষিত করার অভিযোগে তাকে
৫ লাখ টাকা জরিমানা
করেছেন আদালত। এ ছাড়া কলকাতা
হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দ নন্দীগ্রাম মামলা
থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
বুধবার
(৭ জুলাই) এ মামলার রায়
ঘোষণা করেন বিচারপতি কৌশিক।
তাকে হেনস্তা করে আদালত কলুষিত
করার জন্য মামলাকারীকে ৫
লাখ টাকা জরিমানা করেন।
ওই টাকা বার কাউন্সিলে
জমা দিতে বলেছেন। যা
পরে করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত হবে।
এবার
নন্দীগ্রাম মামলা কোন আইনজীবীর এজলাসে
যাবে তার সিদ্ধান্ত নেবেন
কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল।
এ
বিষয়ে বিচারপতি কৌশিক জানান, মামলাকারীর পক্ষ থেকে অভিযোগ
করা হয়েছে তার জন্য তিনি
সরে দাঁড়াচ্ছেন না। বিষয়টি বিতর্কিত
হয়ে ওঠায় তিনি সরে দাঁড়াচ্ছেন।
মামলার
রায় ঘোষণার পর মমতার নির্বাচনী
এজেন্ট শেখ সুফিয়ান বলেন,
‘একজন মুখ্যমন্ত্রীকে এভাবে জরিমানা করা লজ্জাজনক। এই
রায়ের বিরুদ্ধে আমরা সুপ্রিম কোর্টে
যাব।’
তৃণমূলের
রাজ্যসভার সংসদ সদস্য ডেরেক
ও ব্রায়ান টুইট করে লেখেন,
‘আমরা এমন একটা পৃথিবীতে
বাস করছি যেখানে সত্যি
কথা বলার জন্য পাঁচ
লাখ টাকা জরিমানা দিতে
হয়। আমরা এমন একটা
পৃথিবীতে বাস করছি যেখানে
মিথ্যা প্রচারের জন্য কোনো দাম
দিতে হয় না। প্রসঙ্গটা
ধরা গেল? মোদি হ্যায়
তো মুমকিন হ্যায়। মোদি থাকলে সবই
সম্ভব।’
বিধানসভা
নির্বাচনে নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে একবার তৃণমূলের মমতাকে জয়ী ঘোষণা করা
হয়। তারপর আবার অল্প ভোটের
ব্যবধানে বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীকে জয়ী বলে ঘোষণা
করে নির্বাচন কমিশন।
নন্দীগ্রামের
ভোট গণনায় বিজেপির বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ তোলে তৃণমূল। ভোট
গণনার সময় দীর্ঘক্ষণ সার্ভার
ডাউন রাখা হয়েছিল বলে
তাদের অভিযোগ। এ কেন্দ্রের ফল
নিয়ে আদালতে যাবেন বলে আগেই জানিয়েছিলেন
মুখ্যমন্ত্রী মমতা।
এরপর
নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে ভোট গণনায় কারচুপি
করে বিজেপির শুভেন্দু জয়ী হয়েছেন বলে
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস হাইকোর্টে মামলা করে। সেই মামলা
কেন বিজেপি ঘনিষ্ঠ বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে, সেই প্রশ্ন তুলে
বার কাউন্সিলের আইনজীবীরা এই মামলা থেকে
বিচারপতি কৌশিক চন্দের অপসারণ চেয়ে আদালত চত্বরে প্রতিবাদ মিছিল করেন।
এর
আগে গত ২৫ জুন
এই মামলায় ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন মামলাকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার
হয়ে এই মামলায় লড়েন
আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। সেখানে
তিনি বিচারপতি কৌশিক চন্দকে এই মামলা থেকে
সরে দাঁড়ানোর আর্জি জানান।
সম্রাট/এম. জামান