প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৯, ২০২৩, ০৮:৫৮ এএম
অনতিবিলম্বে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনীর বর্বর আগ্রাসন ও গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ।
বৃহস্পতিবার তাসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইসরাইল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্বে সহিংসতার দুষ্টু চক্র ভাঙতে হবে। তার মতে, গাজা ও মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় এটিই একমাত্র পথ।
গাজা উপত্যকার সাধারণ মানুষের ওপর ইসরাইলের হত্যাকাণ্ডকে সম্মিলিত শাস্তি উল্লেখ করে ল্যাভরভ বলেন, এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
ল্যাভরভ বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে আমেরিকা যে ব্যর্থ ও ভুল নীতি অনুসরণ করে আসছে তার ফলাফল হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের চলমান এই সংঘাত। তিনি অভিযোগ করেন যে মধ্যপ্রাচ্যের সংকট সমাধানের ক্ষেত্রে আমেরিকা একচেটিয়া প্রভাব বিস্তার করে রেখেছে এবং আমেরিকার ‘পেছন দরজার এই কূটনীতি’ সম্পর্কে বিশ্ববাসীকে বোঝার চেষ্টা করতে হবে।
তিনি বলেন, শান্তি এবং স্থিতিশীলতার জন্য এককেন্দ্রিক বিশ্ব নয় বরং বহু পক্ষপাক্ষিক বিশ্ব ব্যবস্থা দরকার। বিশ্বব্যাপী গোলযোগ ও সহিংসতা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য তিনি মার্কিন নেতৃত্বাধীন পাশ্চাত্যকে দায়ী করেন।
উল্লেখ্য, গাজা উপত্যকার নিরপরাধ ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুদের ওপর প্রায় দুই মাস ধরে ইসরাইল পাশবিকতা চালিয়ে গেলেও কোনো পশ্চিমা দেশ বা ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখন পর্যন্ত তেল আবিবকে আগ্রাসন বন্ধ করার কথা বলেনি।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২১ হাজার ১১০ জন।
গাজার সরকারি স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরাইলি হামলায় হতাহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী ও শিশু। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় ইসরাইলি হামলায় ৫৫ হাজার ২৪৩ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।
ইসরাইলে সামরিক অভিযানের বিষয়ে আলজাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হামাসের মুখপাত্র খালেদ কাদোমি বলেন, ‘দশকের পর দশক ধরে ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো নৃশংসতার জবাবে এই সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে। আমরা চাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর এবং আমাদের পবিত্র স্থাপনা আল-আকসায় ইসরাইলি নৃশংসতা বন্ধে উদ্যোগ নেবে। এগুলোই হামাসের এই অভিযানের কারণ।’