প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৮, ২০২৩, ০৬:১০ পিএম
সৌদি রাজপুত্র বলে কথা, পানির মতো টাকা খরচ করতেও যাদের বাধে না। আরও একবার সেটাই প্রমাণ করলেন এক সৌদি প্রিন্স। পোষ্য ৮০টি বাজপাখির জন্য তিনি বিমানে আলাদা আলাদা সিট বুক করে নিয়ে নজির গড়লেন।
সিএন ট্রাভেলারের মতে, ঘটনাটি অবশ্য ২০১৭ সালের। সম্প্রতি সেই খবর আবার নতুন করে ভাইরাল হয়েছে নেট দুনিয়ায়। সৌদি আরবের রাজপুত্র তার পাখিদের জন্য বিমানের প্রতিটি আসন বুক করে রেখেছিলেন, যাতে তারা আরামে ও নিরাপদে ভ্রমণ করতে পারে।
ছবিতে দেখা গেছে, বাজপাখিগুলো বিমানের সিটে আরামে বসে আছে, প্রত্যেকেরই হুড পরা এবং নিরাপদে বাঁধা। রেডডিট ব্যবহারকারী লেন্সু কয়েকজন মানবযাত্রীর সাথে কোচে বসে থাকা পাখির শট পোস্ট করেছিলেন। ছবির ক্যাপশন ছিল- ‘আমার ক্যাপ্টেন বন্ধু আমাকে এই ছবিটি পাঠিয়েছে।’ ‘সৌদি যুবরাজ তার ৮০টি বাজপাখির জন্য টিকিট কিনেছিলেন’। যদিও এই ঘটনাটি অদ্ভুত বলে মনে হতে পারে, সিএন ট্রাভেলার জানিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে প্লেনে বাজপাখি পরিবহণের প্রথা অস্বাভাবিক নয়।
বাজপাখি আরব উপদ্বীপে একটি উল্লেখযোগ্য সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহাসিক মর্যাদা ধারণ করে। এই ঐতিহ্য হাজার হাজার বছর আগের এবং আরব ঐতিহ্য ও পরিচয়ের সাথে গভীরভাবে জড়িত। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে বাজপাখির লড়াই একটি জনপ্রিয় খেলা। হাজার হাজার বছর আগে থেকে এই খেলার চল মধ্যপ্রাচ্যে। এই খেলা এতটাই জনপ্রিয় যে শোনা যায়, এই সব খেলার অংশগ্রহণকারী পাখিগুলির আলাদা পাসপোর্টও থাকে। যাতে বাজপাখিগুলি তাদের মালিকের সঙ্গে দেশের বাইরে যেতে পারে, সেই কারণেই এই ব্যবস্থাপনা করা হয়।
এনডিটিভি জানিয়েছে, কাতার এয়ারওয়েজ গ্রাহক প্রতি সর্বোচ্চ ছয়টি বাজপাখি নিয়ে যাবার অনুমতি দেয় বলে জানা গেছে। গিজমোডো রিপোর্ট করেছে, ইতিহাদ এয়ারওয়েজ প্রধান কেবিনে বা ব্য়াগেজের সঙ্গে বাজপাখি নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়। বাজপাখি হল সংযুক্ত আরব আমিরাতের জাতীয় পাখি, তাই বেশ কয়েকটি উপসাগরীয় এয়ারলাইন্স তাদের পরিবহণের জন্য আলাদা ব্যবস্থা রেখেছে।
জেকেএস/