• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১

‘গাজায় প্রতিদিন ইসরাইলি সেনারা মরছেন, নেতানিয়াহু মিথ্যা বলেই যাচ্ছেন’

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৪, ২০২৩, ০৮:১২ পিএম

‘গাজায় প্রতিদিন ইসরাইলি সেনারা মরছেন, নেতানিয়াহু মিথ্যা বলেই যাচ্ছেন’

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে নির্মূলের লক্ষ্য নিয়ে অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। জবাবে ইসরাইলি সেনাদের বিরুদ্ধে পাল্টা প্রতিরোধ চালাচ্ছে হামাসও।

হামাসযোদ্ধাদের হামলায় প্রতিদিনই সেনা হারাচ্ছে ইসরাইল। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কঠোর সমালোচনা করেছেন ইসরাইলের বিরোধী নেতা ইয়ার লাপিদ। তিনি বলেন, গাজায় একের পর এক  ইসরাইলি সেনা প্রাণ হারালেও নেতানিয়াহু মিথ্যা বলেই চলেছেন। খবর আনাদোলুর।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি সেনাদের হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়ার সময়ও অবিরাম মিথ্যাচার করা এবং দায়িত্ব এড়ানোর জন্য বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে অভিযুক্ত করেছেন ইসরাইলি বিরোধী নেতা ইয়ার লাপিদ।

বুধবার সামাজিকমাধ্যম এক্সে তিনি বলেন, ‘নেতানিয়াহু তার সারাজীবন যা করেছেন, এখনো তাই করছেন। আর সেটি হচ্ছে— উসকানি, মিথ্যা বলা এবং মানুষের মাঝে ঘৃণা তৈরি করা।’

তিনি আরও বলেন, ‘নেতানিয়াহু এখনো কেবল এটিই করে চলেছেন। সেটিও আবার এমন একটি তিক্ত যুদ্ধের মধ্যে যেখানে ইসরাইলি সেনারা প্রতিদিন নিহত হচ্ছেন।’

লাপিদ আরও বলেন, ‘গাজায় ইসরাইলি সেনারা যখন নিহত হচ্ছেন, তখন নেতানিয়াহু আবারও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে, আমার সঙ্গে, (যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার মন্ত্রী) বেনি গ্যান্টজ এবং গাদি আইসেনকোটের সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি করেছেন।’

মূলত গাজায় চলমান যুদ্ধের মধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে নেতানিয়াহুর মতবিরোধের সৃষ্টি হয়েছে। বাইডেন বলেছেন, গাজায় নির্বিচারে বোমা হামলা চালিয়ে বিশ্বব্যাপী সমর্থন হারাচ্ছে ইসরাইল।

মার্কিন ডেমোক্র্যাটিক এই প্রেসিডেন্টের মন্তব্যকে ইসরাইলের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে এখনো পর্যন্ত তার সবচেয়ে কঠোর সমালোচনা বলে মনে করা হচ্ছে।

এ ছাড়া বিভিন্ন ইস্যুতে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে মতভেদ রয়েছে বলে স্বীকার করেছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও সেসব মতভেদ দূর হয়নি বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

 

সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন

 

জেকেএস/

আর্কাইভ