প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১, ২০২৩, ০৭:২৮ পিএম
গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে ঢুকে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা চালায় ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ওই হামলার পর গোষ্ঠীটিকে নির্মূলে সর্বাত্মক যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরাইল। দুই পক্ষের হামলায় ১৬ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। নতুন এক প্রতিবেদনে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস দাবি করেছে, হামাসের হামলার পরিকল্পনার বিস্তারিত তথ্য এক বছর আগেই হাতে পেয়েছিল ইসরাইল।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরাইলি কর্মকর্তারা ৪০ পৃষ্ঠার একটি নথি হাতে পান, যার সাংকেতিক নাম দেয়া হয় `জেরিকো ওয়াল`। নথিতে যেভাবে বর্ণনা দেয়া হয়েছিল, বাস্তবে ঠিক সেভাবেই হামলা চালিয়েছে হামাস।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, এই নথি হাতে পেয়েও তা গুরুত্ব না দিয়ে ইসরাইলের সামরিক ও গোয়েন্দা কর্মকর্তারা উল্টো মন্তব্য করেন, `এটি বাস্তবায়ন করা হামাসের পক্ষে প্রায় অসম্ভব।`
হামাসের পরিকল্পনা নথির ইংরেজি অনুবাদ বিশ্লেষণ করে নিউইয়র্ক টাইমস দেখেছে, এতে হামলার নির্দিষ্ট দিন উল্লেখ করা না থাকলেও গাজা উপত্যকার আশেপাশের ইসরাইলি সামরিক অবস্থানগুলোতে একযোগে হামলার কথা বলা হয়।
এদিকে ইসরাইল এবং হামাসের মধ্যকার অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর গাজায় নতুন করে সংঘাত শুরুর খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার (১ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার কিছু আগে এক বিবৃতি জারি করে, গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে আবারও যুদ্ধ শুরুর কথা জানিয়েছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। এতে দাবি করা হয়েছে, হামাস ইসরাইলের ভূখণ্ডে গুলি চালিয়ে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে।
এছাড়া গাজা থেকে ছোড়া একটি রকেট প্রতিহত করার কথাও জানিয়েছে ইসরাইল। আর ফিলিস্তিনের উত্তরাঞ্চলে তীব্র বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ শোনা গেছে বলে খবর দিয়েছে হামাস-সংশ্লিষ্ট মিডিয়া।
আরেক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরপরই গাজায় ব্যাপক বিমান হামলা শুরু করেছে ইসরাইল।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির নির্দিষ্ট সময়সীমার কয়েক মিনিট আগে গাজার নিকটবর্তী ইসরাইলি কিছু এলাকায় রকেট হামলার সতর্ক সংকেত বা সাইরেন বাজানো হয়েছে। যদিও হামাসের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
এর আগে, যুদ্ধবিরতির সপ্তম দিন বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) রাতে সপ্তম দফায় ৮ ইসরাইলি জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে ইসরাইলি কারাগার থেকে মুক্তি পান আরও ৩০ ফিলিস্তিনি বন্দি। ১০৫ ইসরাইলি জিম্মির বিনিময়ে মোট ২৪০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।
সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
জেকেএস/