প্রকাশিত: নভেম্বর ২৮, ২০২৩, ০৭:৫০ পিএম
গণতান্ত্রিক দেশে ভোট অনেকটা উৎসবের মতো। প্রিয় নেতাকে নির্বাচিত করতে সবাই মুখিয়ে থাকে নির্বিঘ্নে ভোট দেওয়ার জন্য। তবে দুর্গম অনেক অঞ্চল আছে যেখানে খুব কাছাকছি ভোটকেন্দ্র নেই। তাই অনেকেই আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন ভোট দিতে।
তবে একটা ভোটারও যেন তার ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত না হয় সেই ব্যবস্থাই করা হয়েছে। এক পরিবারের ভোটারদের জন্যই গোটা একটি ভোটকেন্দ্র বসিয়ে দেওয়া হয়েছে।
অঞ্চলটিতে ভোটার সংখ্যা মাত্র ৩৫ জন। যেখানে ১৯ জন পুরুষ ভোটার আর ১৬ জন নারী ভোটার। এই ঘটনা ভারত-পাকিস্তান সীমান্তবর্তী রাজস্থান রাজ্যের ছোট্ট একটি গ্রামের। এত দিন তাদের ভোট দিতে পাড়ি দিতে হতো অন্তত ২০ কিলোমিটার পথ। তাও যেতে হতো হেঁটে অথবা উটে চড়ে। তাই অনেকে কেন্দ্রেই যেতেন না।
তাদের ভোটাধিকার নিশ্চিতে খোলা আকাশের নিচে অস্থায়ী ভোটকেন্দ্র বসানো হয়। এই ঘটনা উঠে আসে ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে। বলা হচ্ছে, ভারতের রাজস্থান রাজ্যের সবচেয়ে কম ভোটার ওই গ্রামে।
তবে আশপাশে আরও বেশ কয়েকটি গ্রাম আছে যেখানে ভোটার সংখ্যা ৫০ এবং আরেকটি গ্রামে মাত্র ৪৯ ভোটার। তবে নির্বাচন কমিশনের এমন সিদ্ধান্ত অবশ্য নতুন নয়। পাহাড়ের কোলে থাকা বুথগুলোতে ভোটার সংখ্যা কোথাও কোথাও দশ-পনেরো জন মাত্র।
ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, দুর্গম পথ পেরিয়ে আগের রাতে তিন ভোটকর্মী ও একজন পুলিশ কনস্টেবল গ্রামে পৌঁছে তাবু খাটিয়ে বুথ তৈরি করেন।
ভারতের পাঁচটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে। গত ৭ নভেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে ছত্তিশগড় ও মিজোরামে। আর রাজস্থানে ভোট অনুষ্ঠিত হয় ২৫ নভেম্বর। এক যোগে সব রাজ্যের ভোট গণনা শেষে ফল প্রকাশ হবে ৫ ডিসেম্বর।
এর আগে ২০১৮ সালে রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচনে ২০০ আসনের মধ্যে ৯৯ আসন পেয়ে সরকার গঠন করে কংগ্রেস। দলটির জ্যেষ্ঠ নেতা অশোক গেহলট বহুজন সমাজ পার্টির বিধায়ক ও স্বতন্ত্র বিধায়কদের সহায়তা নিয়ে সরকারপ্রধান হন। বিরোধী দল বিজেপি পায় ৭৩ আসন।
সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
জেকেএস/