প্রকাশিত: জুলাই ৬, ২০২১, ০৭:৩২ পিএম
পশ্চিমাদের কূটকচালের বিরুদ্ধে ইরানের পাশে দাঁড়িয়েছে রাশিয়া।
ইরানের পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবনের সংলাপে মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র
কর্মসূচিকে অন্তর্ভুক্ত করার কূটকৌশলের বিরোধিতা
করেছে দেশটি। মস্কো বলেছে, এক বিষয়ের আলোচনায়
অন্য দুই বিষয় অন্তর্ভুক্ত
করা সম্ভব নয়।
অস্ট্রিয়ার
রাজধানী ভিয়েনায় গত এপ্রিল থেকে
পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবনের যে সংলাপ চলছে
তাতে রুশ প্রতিনিধিদলের প্রধান
মিখাইল উলিয়ানোভ এ মন্তব্য করেছেন।
তিনি সোমবার এক টুইটার বার্তায়
বলেছেন, ‘কোনো কোনো পশ্চিমা
কর্মকর্তা ও বিশ্লেষক ভিয়েনা
সংলাপে আরও দুটি বিষয়
অন্তর্ভুক্ত করার যে দাবি
তুলছেন তা এক ঢিলে
তিন পাখি মারার প্রচেষ্টার
সমতুল্য।’
উলিয়ানোভ
বলেন, ‘এই প্রচেষ্টা অবাস্তব
ও অগঠনমূলক। বর্তমানে ভিয়েনায় যে সংলাপ চলছে
তার একমাত্র লক্ষ্য ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত
পরমাণু সমঝোতাকে আবার সক্রিয় করা।’
উলিয়ানোভ
একই দিন আরেক টুইটার
বার্তায় বলেন, ‘রাশিয়া পারস্য উপসাগরের নিরাপত্তা নিয়ে সংলাপ চায়।
কিন্তু তা আলাদা বিষয়
এবং তাকে পরমাণু সমঝোতা
পুনরুজ্জীবনের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলা যাবে না।’
২০১৫
সালে স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতাকে আবার আগের অবস্থায়
সক্রিয় করার জন্য অস্ট্রিয়ার
রাজধানী ভিয়েনায় গত এপ্রিল থেকে
ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে ইরানের সংলাপ চলছে। মার্কিন প্রতিনিধিদল এই সংলাপে পরোক্ষভাবে
অংশ নিচ্ছে।
সাবেক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালের মে
মাসে ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগের নীতি অনুসরণ করে
পরমাণু সমঝোতা থেকে আমেরিকাকে বের
করে নেন। এরপর এক
বছর পর্যন্ত ইরান এই সমঝোতা
বাস্তবায়নে সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল, কিন্তু অন্য
পক্ষগুলো সমঝোতা বাস্তবায়ন না করায় ৩৬
অনুচ্ছেদ অনুসারে ইরান সমঝোতার বেশ
কিছু ধারা বাস্তবায়ন স্থগিত
করে দেয়।
বর্তমান
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার
দেশকে এই সমঝোতায় ফিরিয়ে
আনার আগ্রহ প্রকাশ করলেও তিনি ইরানকে আগে
তার প্রতিশ্রুতিতে পুরোপুরি ফিরে যাওয়ার আহ্বান
জানাচ্ছেন। কিন্তু ইরান বলেছে, আমেরিকা
আগে এই সমঝোতা থেকে
বেরিয়ে গেছে বলে তাকে
আগে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে এতে ফিরে
আসতে হবে। ইরান ও
আমেরিকার মধ্যকার মতপার্থক্যের এ জায়গাটি নিয়ে
মূলত ভিয়েনায় ধারাবাহিক সংলাপ চলছে।
শামীম/এম. জামান