• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বন্ধ হয়ে গেল গাজার সবচেয়ে ২ হাসপাতাল

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৩, ২০২৩, ০৪:৫৫ পিএম

বন্ধ হয়ে গেল গাজার সবচেয়ে ২ হাসপাতাল

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের সবচেয়ে বড় দুটি হাসপাতাল বন্ধ হয়ে গেছে। সর্বশেষ বন্ধ হয়ে যাওয়া ওই হাসপাতাল দুটি হচ্ছে আল শিফা ও আল কুদস হাসপাতাল। এ ছাড়া আল শিফা হাসপাতালে হামলায় ৩ জন নার্স নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। অন্যদিকে জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালও বন্ধ হয়ে গেছে। খবর আলজাজিরার।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গাজার দুটি বৃহত্তম হাসপাতাল— আল-শিফা এবং আল-কুদস হাসপাতাল উভয়ই বন্ধ হয়ে গেছে। ইসরাইলি স্নাইপাররা আল-শিফা হাসপাতালের কাছে কাউকে দেখতে পেলেই তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে যাচ্ছেন। হাসপাতালটির ভেতরে হাজার হাজার মানুষকে আটকে রেখেছে ইসরাইল।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস গাজার হাসপাতালগুলোতে ‘ভয়াবহ এবং বিপজ্জনক’ পরিস্থিতি সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছেন।

তিনি বলেন, হাসপাতালে হামলার ঘটনায় অপরিণত অবস্থায় জন্ম নেওয়া শিশুসহ আরও বহু রোগী ‘দুঃখজনকভাবে’ মারা যাচ্ছে।

এদিকে ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব রেডক্রস বলেছে, গাজা উপত্যকায় বেসামরিক নাগরিকদের যে পরিস্থিতির মধ্যে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে, তা ‘অনিশ্চিত ও অনিরাপদ’। এ ছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতির প্রধান জোসেপ বোরেল বলেন, হাসপাতালের রোগীদের মধ্যে যাদের জরুরি চিকিৎসাসেবা প্রয়োজন তাদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য সংঘাতে ‘বিরতি’ প্রয়োজন।

আলজাজিরা বলছে, গাজার আল-শিফা হাসপাতালে হামলায় তিন নার্স নিহত হয়েছেন বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে। এ ছাড়া গত ১১ নভেম্বর বিদ্যুৎ বিভ্রাট শুরু হওয়ার পর থেকে অকালে জন্ম নেওয়া দুটি শিশুসহ ১২ জন রোগীও হাসপাতালে মারা গেছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পরে তৃতীয় এক অপরিণত শিশুরও মৃত্যু হয়েছে।

অন্যদিকে জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালও বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে আলজাজিরা।

উত্তর গাজায় অবস্থিত কামাল আদওয়ান হাসপাতালের প্রধান আহমেদ আল-কাহলুত আলজাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, হাসপাতালের প্রধান জেনারেটরের জ্বালানি শেষ হয়ে গেছে। এতে করে হাসপাতালটির কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন তারা।

রোগীদের পাশাপাশি এই হাসপাতালটিতে ৫ হাজারেরও বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষ অবস্থান করছেন। তিনি বলেন, ইসরাইলি বোমা হামলার আশঙ্কা থাকা সত্ত্বেও নিরাপত্তার অভাবে হাসপাতালে আশ্রয় নেওয়া মানুষদের কেউ-ই গাজার দক্ষিণাঞ্চলে সরে যেতে পারছেন না।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। তাদের বিমান হামলায় থেকে বাদ যাচ্ছে না গাজার কোনো অবকাঠামো। তারা মসজিদ, গির্জা, স্কুল, হাসপাতাল ও বেসামরিক মানুষের বাড়িঘর সব জায়গায় হামলা চালিয়ে আসছে।

অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরাইলি বর্বর হামলায় নিহতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ১১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। নিহত এসব ফিলিস্তিনির মধ্যে সাড়ে চার হাজারেরও বেশি শিশু। এ ছাড়া নিহতদের মধ্যে নারীর সংখ্যাও তিন হাজারের বেশি।

 

সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন

 

জেকেএস/

আর্কাইভ