প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০২৩, ০৪:২৫ এএম
অবরুদ্ধ গাজায় বাড়ছে খাদ্য সংকট। মিলছে না ত্রাণ। এরই মাঝে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্তনি ব্লিংকেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র রাফাহ ক্রসিংজুড়ে গাজায় ত্রাণ সরবরাহের নেতৃত্ব দিচ্ছে। ৩১ অক্টোবর ব্লিংকেন বলেছিলেন, সাহায্যের জন্য প্রতিদিন ১০০ ট্রাকের প্রয়োজন। ৩ নভেম্বর বলেছিলেন, ত্রাণ নিয়ে যাওয়া ট্রাকের দৈনিক সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। অথচ জাতিসংঘের নেতৃত্বাধীন লজিস্টিক ট্র্যাকার এবং মার্কিন অনলাইন সংবাদমাধ্যম হাফপোস্টের সংগৃহীত তথ্য একটি ভিন্ন চিত্র তুলে ধরে।
৩ নভেম্বর মাত্র ৪৭ ট্রাক ত্রাণ, ৪ নভেম্বর মাত্র ৩০টি এবং ৫ নভেম্বরে মাত্র ২৫টি ট্রাক গাজায় পৌঁছায়। ডেটা দেখায়, ৯ নভেম্বর ৭৫টি ট্রাক পাঠানোর কথা থাকলেও মাত্র ৩৯টি সরবরাহ করতে সক্ষম হয়েছিল। ১০ নভেম্বরের পরিকল্পিত পরিসংখ্যান ছিল মাত্র ৩০ ট্রাক ত্রাণ।
লজিস্টিক ট্র্যাকার অনুসারে, গত ১০ দিনের মাত্র দুদিন প্রায় ১০০ ট্রাক সাহায্য পৌঁছেছে। প্রতিদিন ১০০ ট্রাক পৌঁছানোর কথা থাকলেও ২ ও ৮ নভেম্বর ছাড়া বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অর্ধেক ট্রাকও পৌঁছায়নি গাজায়। ধরতে গেলে গড়ে ‘আধপেট’ ত্রাণও পাচ্ছেন না গাজাবাসী। শুক্র ও শনিবার কতগুলো ট্রাক সরবরাহ আপলোড করতে সক্ষম হয়েছিল তার নিশ্চিতকরণ এখনো পাওয়া যায়নি।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের একজন মুখপাত্র স্বীকার করেছেন, ত্রাণ সরবরাহের প্রক্রিয়াটি এখনো সঠিকভাবে কাজ করছে না। তবে সামগ্রিকভাবে গাজায় প্রাপ্ত সাহায্যের পরিমাণ বাড়ছে। আগামী দিনগুলোতে সাহায্যের পরিমাণ প্রসারিত হতে থাকবে। গাজার বেসামরিক নাগরিকদের জরুরিভাবে প্রয়োজনীয় ত্রাণ সরবরাহ করার জন্য আমরা সমর্থন অব্যাহত রাখব।
এদিকে অবরুদ্ধ গাজার ২.৩ মিলিয়ন জনসংখ্যার প্রায় ৭০ শতাংশ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। বেসামরিক নাগরিকদের অর্ধেকেরও বেশি দক্ষিণাঞ্চলে আশ্রয় নেওয়ায় পানি ও প্রয়োজনীয় মৌলিক চাহিদার ভয়াবহ সংকট দেখা দিয়েছে। ইসরাইলি নির্দেশ অনুসারে, আরও বেশ কিছু নাগরিক একই অঞ্চলে যাওয়ার পথে রয়েছে। বৃহস্পতিবার উচ্চ তাপমাত্রার মধ্যে ৫০ হাজার থেকে ৮০ হাজার গাজাবাসী হেঁটে দক্ষিণে পালিয়েছেন।