প্রকাশিত: নভেম্বর ২, ২০২৩, ০৯:১১ পিএম
ইহুদি ধর্মীয় আইনের শিক্ষক জেসিকা রোজেনবার্গ বাইডেনের বক্তৃতার মাঝখানে দাঁড়িয়ে বলেন, জনাব প্রেসিডেন্ট, আপনি ইহুদি লোকজনের দিকে খেয়াল রাখেন। একজন ইহুদি রাব্বি হিসেবে আমি চাই, আপনি এখনই যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাবেন।
উপস্থিত অনেকে রোজেনবার্গকে থামতে ও বসে পড়তে বলেন, আর বাইডেন তার দাবির জবাবে বলেন, আমার মনে হয় একটা বিরতি দরকার। এ সময় রোজেনবার্গ আবার বাইডেনের কথায় বাধা দিয়ে বলেন, বিরতি। কীসের বিরতি?
উত্তরে বাইডেন বলেন, বিরতির মানে বন্দিদের বের করার জন্য সময় দেওয়া।
এর পর রোজেনবার্গকে সমাবেশস্থল থেকে জোর করে বের করে নিয়ে যাওয়া হতে থাকলে তিনি চেঁচিয়ে বলেন, এখনই যুদ্ধবিরতি চাই।
শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে বাইডেন বলেন, আমি এই আবেগ বুঝতে পারছি।
শ্রোতারা হাততালি দিয়ে বাইডেনকে স্বাগত জানান এবং প্রতিবাদকারী রোজেনবার্গকে তিরস্কার করেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
পরে হোয়াইট হাউস জানায়, ‘বন্দি’ বলতে বাইডেন হামাসের হাতে বন্দি ২৪০ ‘জিম্মি’ কে বুঝিয়েছেন।
নিরাপত্তাকর্মীরা রোজেনবার্গকে পাহারা দিয়ে বাইরে নিয়ে যাওয়ার সময়ও তিনি ‘এখনই যুদ্ধবিরতি চাই’ বলতে থাকেন।
আর বাইডেন বলেন, ইসরাইল ও মুসলিম বিশ্ব উভয় দিকেই পরিস্থিতি ‘অবিশ্বাস্য রকম জটিল’ হয়ে আছে।
তিনি বলেন, আমি দ্বিরাষ্ট্রিক সমাধান সমর্থন করি, অনেক আগে থেকেই। ঘটনা হচ্ছে— হামাস একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। স্পষ্টতই একটি সন্ত্রাসী সংগঠন।
৭ অক্টোবর হামাসের ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা গাজার সীমান্ত অতিক্রম করে ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে সবাইকে হতবাক করে দেয়। ইসরাইল জানিয়েছে, এ হামলায় ১৪০০ জন নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশ বেসামরিক আর হামাসের যোদ্ধারা ২০০ জনেরও বেশি মানুষকে ধরে নিয়ে গিয়ে বন্দি করে রেখেছেন।
এর পর থেকে হামাসকে নির্মূল করার প্রত্যয় নিয়ে গাজায় স্থল, জলপথ ও আকাশপথে ব্যাপক হামলা শুরু করে ইসরাইল।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরাইলি হামলায় গাজায় তিন হাজার ৬৪৮ শিশুসহ অন্তত আট হাজার ৭৯৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন