প্রকাশিত: অক্টোবর ১৮, ২০২৩, ০২:১১ পিএম
ফিলিস্তিনের গাজার একটি হাসপাতালে ইসরাইলের বিমান হামলায় অন্তত ৫০০ জন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে গাজা শহরের কেন্দ্রস্থল আল-আহলিল আরব হাসপাতালে একাধিক বিস্ফোরণ হয়। এতে অন্তত ৫০০ জন নিহত হয়েছেন।
গাজার নিয়ন্ত্রণকারী হামাস সরকার এই হামলাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে অভিহিত করেছে। এক বিবৃতিতে গাজার সরকার বলেছে, ‘হাসপাতালটিতে কয়েকশ আহত ও অসুস্থ মানুষ ছিলেন। এছাড়া জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মানুষও এখানে ছিলেন।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোনোরকম পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই ইসরাইল হাসপাতালটিতে হামলা চালিয়েছে।
এদিকে গাজায় বিমান হামলা আরও তীব্র করেছে ইসরাইলি বাহিনী। হামলায় এখন কার্যত বিপর্যস্ত গাজা উপত্যকা। এরই মধ্যে সীমান্তে স্থল অভিযানের পায়তারা করছে ইসরাইলি সেনারা। ইসরাইলের সর্বাত্মক অবরোধে উপত্যকায় সার্বিক পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি ঘটছে।
অবরুদ্ধ গাজায় উপত্যকায় ইসরাইলের বিমান হামলায় মৃত্যু সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, নিহত ৩ হাজার ছাড়িয়েছে। নিহতদের এক তৃতীয়াংশই শিশু। গুরুতর আহত হয়েছেন প্রায় ১২ হাজার ৫০০ জন।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরাইলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪০০ জনে। এর মধ্যে ৩০২ জন সেনা বলে জানিয়েছে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ।
গাজায় খাদ্য ও পানি দ্রুতই ফুরিয়ে যাচ্ছে। শিগগিরই ত্রাণ সহায়তা না পেলে মানবিক বিপর্যয় ঘটতে পারে। এমন পরিস্থিতিতেও ‘গাজার লাইফলাইন’ খ্যাত রাফা ক্রসিং খুলে দিতে টালবাহানা করছে ক্রসিংটির নিয়ন্ত্রক দেশ মিশর।
হাজার হাজার ফিলিস্তিনি সীমান্তের অপর প্রান্তে তথা গাজার অভ্যন্তরে ত্রাণ সহায়তার জন্য অপেক্ষার প্রহর গুণছে। আর অপর প্রান্ত তথা মিশরের অংশে ত্রাণ সহায়তা বহনকারী শত শত লরি-ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে। কর্তৃপক্ষের সবুজ সংকেত পেলেই তারা গাজায় প্রবেশ করবে।
কিন্তু ক্রসিং খোলার কোনো লক্ষণ এখন পর্যন্ত দেখা যায়নি। সোমবার (১৬ অক্টোবর) মিশর কর্তৃপক্ষ জানায়, রাফা ক্রসিং খোলার ব্যাপারে ইসরাইল কোনো সহযোগিতা করছে না।
সাজেদ/