প্রকাশিত: অক্টোবর ৭, ২০২৩, ০১:০৯ এএম
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, তাদের লক্ষ্য ছিল একটি ‘নতুন বিশ্ব’ তৈরি করা এবং ইউক্রেনে মস্কোর আক্রমণের জন্য পশ্চিমা আধিপত্যকে দায়ী করা। পুতিন ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণ মাত্রার সামরিক হস্তক্ষেপকে কাজে লাগিয়েছেন যা ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হয়েছিল।
পুতিন বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ হচ্ছে, মূলত একটি নতুন বিশ্ব গড়া। পশ্চিমারা আমাদের ‘আধিপত্যের’ টার্গেটে ছিল। পশ্চিমের সবসময়ই একজন শত্রুর প্রয়োজন হয়।
মস্কো যেহেতু পশ্চিমে আরও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে এবং তার ইউক্রেন অভিযানের জন্য নজিরবিহীন নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হচ্ছে। পুতিন পশ্চিমকে রাশিয়ার সঙ্গে একটি ‘নতুন আয়রন কার্টেন’ তৈরি করার চেষ্টা করার জন্য অভিযুক্ত করেছেন।
পুতিন বলেছেন, ‘ইউরোপ আমাদের থেকে নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছে এবং একটি নতুন লোহার পর্দা তৈরি করছে। আমরা দরজা বন্ধকারী নই। ইউরোপই দরজা বন্ধ করছে।’
বেশিরভাগ পশ্চিমা দেশ রাশিয়ান এয়ারলাইন্সের জন্য তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে, যা দেশের বাইরে ভ্রমণকে আরও কঠিন করে তুলেছে। এ প্রসঙ্গে পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনের সংঘাত ‘আঞ্চলিক নয়’ এবং মস্কোর ‘কিছু অঞ্চল জয়ের দৃষ্টিকোণ থেকে কোনও স্বার্থ নেই।’
রাশিয়ার সেনাবাহিনী দক্ষিণ ও পূর্ব ইউক্রেনের বিশাল অংশ দখল করে আছে এবং পুতিন আনুষ্ঠানিকভাবে ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলকে সংযুক্ত করেছেন— খেরসন, জাপোরিঝিয়া, দোনেৎস্ক এবং লুহানস্ক।
পুতিন ধারাবাহিকভাবে বলেছেন, ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড ঐতিহাসিকভাবে রাশিয়ার ছিল। পাশাপাশি ইউক্রেনের রাষ্ট্রত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। ২০১৪ সালে ইউক্রেন থেকে ক্রিমিয়ান উপদ্বীপকে সংযুক্ত করার বিষয়টিও তদারকি করেছিলেন তিনি।
৭১ বছর বয়সী দীর্ঘদিনের নেতা এই সংঘাতের জন্য পশ্চিমা দেশগুলোকে দোষারোপ করেছেন। এখন যুদ্ধের ২০তম মাস চলছে। তিনি বলেন, ‘পশ্চিমের সক্রিয় সমর্থনে কিয়েভ শাসনের দ্বারা শুরু হওয়া যুদ্ধটি ইতিমধ্যে ১০ বছর ধরে চলছে। এটি বন্ধ করার জন্য বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করা হয়েছিল।’
রাশিয়ার সেনাবাহিনী তাদের আক্রমণের প্রথম দিনে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ দখল করতে ব্যর্থ হয়েছে।
সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
জেকেএস/