প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৩, ০৩:২৮ এএম
ভারতে অনুষ্ঠিতব্য জি ২০ সম্মেলনে শারীরিকভাবে উপস্থিত থাকতে পারবেন না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, এবার জানা গেল এই সম্মেলনে ভার্চ্যুয়ালিও অনুপস্থিত থাকবেন পুতিন।
কিছুদিন আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত ব্রিকস সম্মেলনে অনুপস্থিত থাকলেও ভিডিওবার্তার মাধ্যমে বক্তব্য দিয়েছিলেন তিনি; কিন্তু এবার আর তেমন হচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ও তার কার্যালয় ক্রেমলিনের প্রেস সেক্রেটারি দিমিত্রি পেসকভ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, আগামী ৯ সেপ্টেম্বর শুরু হতে যাওয়া জি২০ সম্মেলনে পুতিন ভার্চ্যুয়ালি উপস্থিত থাকবেন কিনা কিংবা কোনো ভিডিওবার্তা দেবেন কিনা।
উত্তরে পেসকভ বলেন, ‘না, এমন কোনো পরিকল্পনা নেই। আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী (সের্গেই ল্যাভরভ) এবারের সম্মেলনে রাশিয়ার প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে রয়েছে। সম্মেলনের যাবতীয় কার্যক্রম তিনিই তত্ত্বাবধান করবেন।
গত ২২ থেকে ২৪ আগস্ট পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক জোট ব্রিকসের সম্মেলন। সেই সম্মেলনেও রুশ প্রতিনিধি দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ল্যাভরভ। তবে সেবার ভিডিও লিংকের মাধ্যমে সম্মেলনে বক্তব্য দিয়েছিলেন পুতিন।
প্রসঙ্গত, ইউক্রেনের শিশুদের জোর করে রাশিয়ায় পাচারের অভিযোগে গত মার্চে পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। রাশিয়া আইসিসির সদস্য না হওয়ায় এই পরোয়ানা কার্যকর হয়নি।
তবে দক্ষিণ আফ্রিকা আইসিসির সদস্য। আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, পুতিন যদি ব্রিকস সম্মেলনে যেতেন, সেক্ষেত্রে আইসিসির অন্যান্য সদস্যরাষ্ট্রগুলো দক্ষিণ আফ্রিকার ওপর চাপ সৃষ্টি করাতে পারত। সম্ভাব্য সেই চাপ থেকে দেশটিকে মুক্ত রাখতেই সম্মেলনে উপস্থিত না থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট।
ভারতও আইসিসির সদস্য। তাছাড়া এবারের সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, যিনি এই মুহূর্তে রুশ প্রেসিডেন্টের সবচেয়ে বড় সমালোচক। রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, মূলত এ দু’টি কারণেই জি২০ সম্মেলন থেকে সব রকমভাবে নিজেকে বিচ্ছিন্ন রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পুতিন।
সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
জেকেএস/