প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১, ২০২৩, ০৩:০০ এএম
চলতি বছর হচ্ছে না পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে দেশটিতে নির্বাচন হতে পারে। বুধবার (৩০ আগস্ট) কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপে এই কথা জানিয়েছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)।
বুধবার আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টি এ.ন.পি, বেলুচিস্তান ন্যাশনাল পার্টি বি.এন.পি এবং বেলুচিস্তান আওয়ামী পার্টির সঙ্গে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। সংলাপে দলগুলো ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন দিতে কমিশনের প্রতি আহ্বান জানায়। তবে সেটা সম্ভব না হলেও আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে বলে কমিশন নিশ্চিত করেছে।
পাকিস্তানের গণমাধ্যম দ্য ডন বলছে, নির্বাচনের নির্দিষ্ট তারিখ জানাতে কমিশনকে চিঠি পাঠিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। তবে সুনিদির্ষ্ট তারিখ না জানানোয় নির্বাচন আরও পেছানো হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছে রাজনৈতিক দলগুলো। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ বৃদ্ধিরও শঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও নিজেদের ওপর কারও চাপ নেই বলে জানিয়েছে কমিশন।
গেল ৯ আগস্ট পাকিস্তানে পার্লামেন্ট বিলুপ্ত ঘোষণা করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। এরপর ক্ষমতায় আসে তত্বাবধায়ক সরকার।
সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুসারে আগামী নভেম্বর শেষ হওয়ার আগেই নির্বাচন হওয়ার কথা পাকিস্তানে। কিন্তু পাকিস্তানের সাবেক আইনমন্ত্রী আজম নাজির তারার গত ৬ আগস্ট এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, নির্বাচন কমিশনের কাছে হালনাগাদ ভোটার তালিকা না থাকায় এবার নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন হওয়া সম্ভব নয়।
এদিকে পাকিস্তানে সঠিক সময়ে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনালাপে এই আহ্বান জানান মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের আন্ডার সেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড।
সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
জেকেএস/