প্রকাশিত: আগস্ট ২৪, ২০২৩, ০৬:৪৬ পিএম
বিমান বিধ্বস্ত হয়ে সত্যিই ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন নিহত হয়েছেন কি না, তা নিয়ে যখন কৌতুহলের শেষ নেই; ঠিক তখনই নতুন এক তথ্য প্রকাশ করল রুশ সংবাদমাধ্যম সারগ্রাদ টিভি।
নিজস্ব সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি দাবি করেছে, রাশিয়ার ভাড়াটে যোদ্ধা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওয়াগনারের প্রধান প্রিগোজিনের মৃতদেহ প্রাথমিকভাবে শনাক্ত হয়েছে। তবে ডিএনএ বিশ্লেষণের কাজ এখনও বাকি। খবর আল-জাজিরা’র।
রুশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে আলোচনায় উঠে এসেছিলেন প্রিগোজিন। তবে বুধবার (২৩ আগস্ট) এক বিমান দুর্ঘটনায় পাওয়া যায় তার মৃত্যুর খবর। বিধ্বস্ত বিমানের যাত্রী তালিকায় প্রিগোজিনের নাম থাকার কথা জানিয়েছে রাশিয়ার বিমান সংস্থাও। কিন্তু তালিকায় যে প্রিগোজিনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি ওয়াগনার প্রধানই কি না, তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা।.
রাশিয়ার বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, প্রিগোজিনের নাম বিমানের যাত্রী তালিকায় ছিল এবং ওয়াগনার-সংশ্লিষ্ট একটি টেলিগ্রাম গ্রুপও দাবি করেছে যে তিনি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। বিমানটিতে তিন জন ক্রু ও সাত যাত্রীসহ মোট ১০ আরোহী ছিল।
কিন্তু প্রিগোজিনের মৃত্যুর বিষয়টি স্বাধীনভাবে যাচাই করার কোনো উপায় না থাকায় অনেক বিশ্লেষক এ নিয়ে ‘সতর্ক’ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
লন্ডনভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক চ্যাথাম হাউসের বিশ্লেষক কেয়ার জিলস বলেছেন, ‘এ বিষয়ে সতর্ক থাকার প্রয়োজন আছে, যা আমাদের বিবেচনা করা দরকার।’
তিনি আরও বলেন, বিধ্বস্ত বিমানটিতে ইয়েভগেনি প্রিগোজিন নামে একজন যাত্রী ছিলেন বলে ঘোষণা দেয়া হয়েছে। তবে এটিও অজানা নয় যে, ওয়াগনার প্রধানের ভ্রমণ সংক্রান্ত তথ্য অস্পষ্ট করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে অনেকেই তাদের নাম পরিবর্তন করে ইয়েভগেনি প্রিগোজিন রেখেছেন।
‘বিষয়টি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত; আসল প্রিগোজিন যদি আফ্রিকা থেকে নিজের একটি নতুন ভিডিও প্রকাশ করেন, তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না,’ যোগ করেন তিনি।
সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
জেকেএস/