প্রকাশিত: আগস্ট ১৪, ২০২৩, ০৩:৩৭ এএম
জার্মানির শীর্ষস্থানীয় প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠান রাইনমেটালের তৈরি অত্যাধুনিক রিকনেসান্স ড্রোন পেতে যাচ্ছে ইউক্রেন। সামনের সময়গুলোতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধরত দেশটিকে এসব ড্রোন সরবরাহ করা হবে বলে জার্মানির সংবাদ মাধ্যম বিল্ড এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।
লুনা এনজি নামে পরিচিত অত্যাধুনিক ড্রোনটি কয়েকশ কিলোমিটার পরিসরেও কার্যকর এবং এর ভবিষ্যত সংস্করণগুলো অস্ত্র বহন করতে সক্ষম হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শনিবার এক প্রতিবেদনে বিল্ড জানিয়েছে, জার্মানির পক্ষ থেকে চলতি বছরের শেষের দিকে ড্রোনগুলো সরবরাহ করা হবে।
লুনা এনজি (নতুন প্রজন্ম) হল রাইনমেটালের নতুন ইউএভি সিস্টেম, যা শুধু রিকনেসান্সের উদ্দেশ্যেই নয় বরং ৪জি ওয়্যারলেস ব্রডব্যান্ড প্রদান করা এবং যোগাযোগে শোনা বা ব্যাহত করার কাজেও ব্যবহার করা যাবে।
বিল্ড জানিয়েছে, ড্রোনটির সর্বোচ্চ অপারেটিং উচ্চতা ৫ কিমি এবং এটি কয়েকশ কিলোমিটার এলাকা কভার করতে পারে। সিস্টেমটিতে একটি গ্রাউন্ড কন্ট্রোল স্টেশন, একটি লঞ্চিং ক্যাটাপল্ট, একটি ট্র্যাক এবং বেশ কয়েকটি ইউএভি রয়েছে।
লুনা এনজির পরবর্তী সংস্করণগুলোতে গোলাবারুদ বহন করার সক্ষমতা থাকবে, যদিও ইউক্রেন চাইলেও সব ধরণের হামলায় তা ব্যবহার করতে পারবে না বলে জানা গেছে। কর্মকর্তারা এজাতীয় অস্ত্র বিষয়ক আইন চালু করলে জার্মানির নিজস্ব সামরিক বাহিনীতেও এই ড্রোনের ব্যবহার চালু করা হবে।
রাইনমেটালের সিইও আরমিন প্যাপারগার গত মাসে বলেছিলেন, লেপার্ড-২ ট্যাংক এবং কিয়েভে সরবরাহ করা অন্যান্য জার্মান-নির্মিত সামরিক সরঞ্জামগুলোর মেরামত কারখানা এই গ্রীষ্মের পরে চালু করা হবে।
জার্মান অস্ত্র প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান মার্চ মাসে এই পরিকল্পনাগুলো প্রকাশ করে বলেছিল, তারা ইউক্রেনের মাটিতে উত্পাদন এবং মেরামত কারখানার জন্য ২০০ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে প্রস্তুত।
তারপর থেকে, রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান দিমিত্রি মেদভেদেভ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভাসহ বেশ কয়েকজন রুশ কর্মকর্তা সতর্ক করে বলেছেন, বার্লিন যদি এই পরিকল্পনা নিয়ে আগায় তবে তাদের এই ধরনের স্থাপনা হবে মস্কোর প্রধান লক্ষ্য।
ইউক্রেনের রাইনমেটালের ট্যাংক উৎপাদন কেন্দ্রটি বছরে ৪০০ ইউনিট সামরিক সরঞ্জাম উত্পাদন করতে সক্ষম হবে বলে বিল্ড জানিয়েছে।
সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
জেকেএস/