প্রকাশিত: আগস্ট ৮, ২০২৩, ০২:২৩ এএম
কারাবন্দি ইমরান খানের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। দলটির দাবি, কারাগারে পাকিস্তানের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর জীবন ‘হুমকির মুখে’ রয়েছে।
দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ইমরান খানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন ইসলামাবাদের একটি আদালত। এছাড়াও আদালতের রায়ে তাকে এক লাখ রুপি জরিমানা ও ৫ বছরের জন্য রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ রায়ের পরপরই গ্রেফতার করা হয় পিটিআই প্রধানকে।
দলটির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মেহমুদ কুরেশি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরাকে বলেছেন, ‘ইমরান খানকে গত দুই দিন ধরে তার আইনজীবীদের সঙ্গে দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না। দলীয় নেতারা তার সুস্থতা নিয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন।’
পাকিস্তানের সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের মূল অগ্রাধিকার হলো তার (ইমরান খান) নিরাপত্তা। তার জীবন যে হুমকির মধ্যে রয়েছে, সেটি আমাদের বিশ্বাস করার অনেক কারণ আছে। আমি দেশের উচ্চ আদালতকে নোটিশ গ্রহণের অনুরোধ করছি। আমাদের আশা, ন্যায়বিচারের জয় হবে।
‘পাঞ্জাব প্রদেশের যে কারাগারে ইমরান খানকে রাখা হয়েছে সেখানে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা নেই, যা সাবেক একজন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাকে দেয়া উচিত,’ যোগ করেন কুরেশি।
বন্দী হিসেবে ইমরানকে তার যথাযথ অধিকার দেয়া হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন,
আমরা তার সঙ্গে যোগাযোগ করতেও চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছি। আমরা জানি না তাকে কী ধরনের খাবার দেয়া হচ্ছে বা সেখানে তার সঙ্গে কেমন আচরণ করা হচ্ছে।
‘আদালতের নির্দেশ ছিল তাকে আদিয়ালা কারাগারে স্থানান্তর করার। কিন্তু এর পরিবর্তে তাকে আত্তক কারাগারে নেয়া হয়েছে। কেন এমন করা হলো, তা-ও কেউ আমাদের ব্যাখ্যা করেনি,’ বলেন তিনি।
২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ইমরান খান। গত বছরের এপ্রিলে বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবের মধ্য দিয়ে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরপরই তার বিরুদ্ধে কয়েকটি দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। তার মধ্যে রাষ্ট্রীয় উপহারের মালামাল বিক্রির অভিযোগ অন্যতম। যাকে তোশাখানা দুর্নীতি বলা হচ্ছে।
৭০ বছর বয়সি এই রাজনীতিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে বিভিন্ন দেশ সফরকালে পাওয়া রাষ্ট্রীয় উপহার সামগ্রী ব্যক্তিগতভাবে কিনে নেয়া ও সেগুলো বিক্রি করে দেয়ার ক্ষেত্রে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন তিনি।
সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
জেকেএস/